Coronavirus in India

দেশে এক দিনে করোনায় সংক্রমিত ৭৫ হাজার

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজারেরও বেশি। সুস্থতার হার ৭৬.২৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৭
Share:

দেশের মোট আক্রান্ত হলেন ৩৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৩৪ জন। গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।

পুরনো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনায় সংক্রমিত হলেন ৭৫,৭৬০ জন!

Advertisement

টানা ২১ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। গত কালই আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেশে মোট কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ পেরিয়েছিল। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানেও ওই অঙ্ক পেরোনোর পাশাপাশি ভারতে কোভিডে মোট মৃত্যু ৬০ হাজার পেরোল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছে, দেশে কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা আজ ২৫ লক্ষ পেরিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজারেরও বেশি। সুস্থতার হার ৭৬.২৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে এই হার ৭৯.১০ শতাংশ। অসমের হারও ওই একই। শীর্ষে দিল্লি, ৯০ শতাংশ। তার পরে রয়েছে বিহার (৮৩.৮০), গুজরাত (৮০.২০) এবং রাজস্থান (৭৯.৩০)।

Advertisement

আরও পড়ুন: পিছু হটতে হবে চিনা সেনাকেও, বলল দিল্লি

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কেন্দ্রের বক্তব্য, এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের মাত্র ২১.৯৩ শতাংশ। মোট অ্যাক্টিভ রোগীর চেয়ে সুস্থের সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক বার মৃতের সংখ্যা হাজার পেরোলেও সার্বিক মৃত্যুহার নিম্নমুখীই রয়েছে। এখন তা ১.৮৩ শতাংশ। অসমে মৃত্যুহার চোখে পড়ার মতো কম, ০.২৭ শতাংশ। তার উপরেই বিহার, গুজরাত, অন্ধ্র, ছত্তীসগঢ়। গত কাল থেকে সারা দেশে ৯.২৪ লক্ষের বেশি পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষার সংখ্যা ৩.৮৫ কোটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, তাদের নির্দেশিত ‘টেস্ট, ট্র্যাক, আইসোলেট’ নীতি, হাসপাতাল ও দক্ষ চিকিৎসকদের পরিষেবার ফলেই মৃত্যুহার কমছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

বিজেপির তিন নেতা— উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, আমদাবাদ পশ্চিমের সাংসদ কিরীট সোলাঙ্কি এবং সুরতের বিধায়ক হর্ষ সাঙ্ঘভি জানিয়েছেন, তাঁরা করোনা-সংক্রমিত হয়েছেন। রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ও দফতর মিলিয়ে ১০ জন কর্মী কোভিড-আক্রান্ত হওয়ায় পূর্বনির্ধারিত সমস্ত বৈঠক বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। ছ’মাসে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকেই আগামিকাল পঞ্জাবে এক দিনের জন্য বিধানসভার অধিবেশন বসছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন মন্ত্রী-সহ ২৩ জন বিধায়ক সংক্রমিত হওয়ায় কাল অধিবেশনে উপস্থিত প্রত্যেকের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছেন স্পিকার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কন্টেনমেন্ট এলাকার সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে সরকারি সূত্রে। করোনার মোকাবিলা, বিশেষত দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি আজই পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। তবে আজই দিল্লি সরকারের সঙ্গে আবার বিরোধ বেধেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। টুইটে অমিত শাহের মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রসচিবকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাঠানো গত ২৭ অগস্টের চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, পরীক্ষার সংখ্যা না-বাড়ানোর জন্য দিল্লির অফিসারদের চাপ দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন