Coronavirus in India

ডেলিভারি বয়ের করোনা, কোয়রান্টিনে ৭২ পরিবার

মালব্য নগরের সাবিত্রী নগরের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওই যুবকের দেহে গত ২০ দিন ধরে করোনার উপসর্গ ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪৬
Share:

ছবি: রয়টার্স।

পিৎজ়া ডেলিভারি বয়ের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় দিল্লির মালব্য নগরে ৭২টি পরিবারকে নিভৃতবাসে (কোয়রান্টিন) পাঠানো হল।

Advertisement

মালব্য নগরের সাবিত্রী নগরের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওই যুবকের দেহে গত ২০ দিন ধরে করোনার উপসর্গ ছিল। দক্ষিণ দিল্লির এক বড় রেস্তরাঁ থেকে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছনোর কাজ করতেন তিনি। ১৪ এপ্রিল ধরা পড়ে তিনি করোনা পজ়িটিভ। তার পরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। দেখা যায়, গত ২০ দিন ধরে মালব্য নগর, সাবিত্রী নগর ও হাউজ় খাস এলাকার ৭২টি পরিবারে খাবার ডেলিভারি করেছেন তিনি। গত রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ দিল্লির বেশ কিছু হাসপাতালেও গিয়েছেন খাবার পৌঁছে দিতে। ওই ৭২টি পরিবার ছাড়়াও ওই যুবকের সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন ১৭ জন ডেলিভারি বয়কে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত আপাতত এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

যে রেস্তরাঁয় ওই যুবক কাজ করতেন, সেটি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘করোনার বিস্তার রুখতে সব নিয়ম মেনে চলা সত্ত্বেও আমাদের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা প্রশাসনকে সব তথ্য দিয়েছি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ওই যুবকের সঙ্গে সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছেছে প্রশাসন। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’’ আক্রান্ত যুবককে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের বিদেশ সফরের ইতিহাস নেই।

Advertisement

সম্ভবত আক্রান্ত কোনও পরিবারে খাবার পৌঁছতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছেন তিনি।

করোনার বিস্তার রুখতে সুরক্ষানীতি না মানার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়়তে হয়েছে অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটিকে। এক ক্রেতা বলেছেন, ‘‘কয়েক দিন আগে আমি ওদের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলাম। যিনি দিতে এসেছিলেন, তাঁর মাস্ক ছিল না। প্রশ্ন করে জানতে পারি, সংস্থা ওঁদের মাস্ক দিচ্ছে না।’’ খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘আমাদের সংস্থার মাধ্যমে ওই বিশেষ রেস্তোরাঁটি থেকে খাবার ডেলিভারি করা হয়েছে। সেই সময় রাইডার আক্রান্ত ছিলেন কি না, জানতাম না। তবে সংস্থার কোনও কর্মীই জেনে এই কাজ করবেন না। ওই যুবকও নিজে জানলে নিশ্চয় আমাদের তা জানাতেন এবং আমরাও সতর্কতা অবলম্বন করতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement