Coronavirus

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধ করা হবে না: আইসিএমআর

আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ভারতে যে-ভাবে করোনা-প্রতিরোধক হিসেবে ওই ওষুধের ব্যবহার চালু রয়েছে, তা চালু থাকবে। এতে ভয়ের কিছু নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখার কথা গত কালই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মূলত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু হু-র পর্যবেক্ষণকে কার্যত গুরুত্ব না-দিয়ে আজ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলেছে, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ওই ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এইচসিকিউ-এর সেই অর্থে কোনও ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ভারতে যে-ভাবে করোনা-প্রতিরোধক হিসেবে ওই ওষুধের ব্যবহার চালু রয়েছে, তা চালু থাকবে। এতে ভয়ের কিছু নেই। শুধু খালি পেটে ওষুধটি খাওয়া চলবে না।

Advertisement

স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড সংক্রমণ রুখতে এইচসিকিউ ব্যবহার করে ভারত গোড়া থেকেই সাফল্য পেয়েছে বলে মত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। ভারতে এইচসিকিউ-এর ব্যবহার দেখে হু-র তত্ত্বাবধানে অন্যান্য দেশেও ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত কালই সিদ্ধান্ত পাল্টায় হু। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভার্গব জানান, গত কয়েক মাস ধরে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উপরে নিয়মিত নজর রেখেছে এমস, আইসিএমআর ও দিল্লির তিনটি সরকারি হাসপাতাল। তেমন কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্টে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমশ কমে এসেছে। তাই পুলিশ ও আধাসেনাকেও ওই ওষুধ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি চিকিৎসা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ বলা হয়, নানা দেশে এইচসিকিউ প্রয়োগের ফলে রোগীদের অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহারের ফলে বমি ভাব, বমি, বুক ধড়ফড়ানির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু ভার্গবের কথায়, ‘‘এগুলি সামান্য উপসর্গ। শুধু দেখতে হবে, ওই ওষুধ দেওয়ার আগে রোগীর পেট যেন ভরা থাকে এবং চিকিৎসকের পরামর্শেই যেন ওষুধ দেওয়া হয়।’’ ওষুধ দেওয়ার পরে রোগীর ইসিজি করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: আবার পুলিশের অন্দরে করোনা, আক্রান্ত এ বার ১৪

কেন্দ্রের বক্তব্য, ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল দাবি করেন, দেশে এক সময়ে মৃত্যু-হার ছিল ৩.৩৮ শতাংশ। তা কমে হয়েছে ২.৮৭ শতাংশ। ভার্গবের কথায়, ‘‘কারও মতে, ভাইরাসের চরিত্রগত কারণেই এ দেশে মৃত্যুর হার কম। কেউ বলেছেন, ভারতীয়দের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। আবার ভারতীয়দের বিসিজি টিকা নেওয়ার বিষয়টির কথাও কেউ কেউ বলেছেন। ঠিক কারণটা যে কী, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’ সংক্রমণের প্রশ্নেও ভারত তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে যেখানে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যায় ১০.৭ জন সংক্রমিত হচ্ছেন, সেখানে বিশ্বের গড় ৬৯.৯। যা ভারতের চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন