Coronavirus Update

টিকাকরণ শুরুর আগে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত কমে সাড়ে ১৬ হাজার

দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়া কোটির দোরগোড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৫৭
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশের কোভিড সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত ৩ দিন দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজারের নীচেই রয়েছে। সোমবার তা কমে ১৬ হাজারে নেমেছে। দৈনিক মৃত্যুও ২৫০-র কম। দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে কমে আড়াই লক্ষের নীচে। মোট আক্রান্তের ৯৬ শতাংশেরও বেশি সুস্থ। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫০৪ জন। এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬৯ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বের প্রথম আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ছাড়িয়ে বাড়ছে। এখনও সেখানে রোজ গড়ে ২ লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ আমেরিকার তুলনায় নিয়ন্ত্রণে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৭৭ লক্ষ ৩৩ হাজার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনাভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৪৯ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১৪ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৪৯,৬৬৬)। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৯,৭৯২), উত্তরপ্রদেশ (৮,৪০৩), অন্ধ্রপ্রদেশও (৭,১১৫)।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়া কোটির দোরগোড়ায়। ৯৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ইতিমধ্যেই সুস্থ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৭ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৩ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৭৮ জনের। যা গত তিন দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণের হার ২.২৪ শতাংশ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশের মোট আক্রান্তের মধ্যে ১৯ লক্ষ ৪২ হাজার মহারাষ্ট্রের। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ সেখানে। বাকি সব রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষের নীচে। কর্নাটকে তা ৯ লক্ষ পার করেছে, অন্ধ্রে ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৮ লক্ষ ২০ হাজার। কেরলে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার পার করে বাড়ছে, দিল্লিতে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার। উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্ত। বাকি রাজ্যগুলিতে ৩ লক্ষের গণ্ডিতে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৬ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৭৫ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement