রেলে এ বার শুরু হতে চলেছে রিলায়্যান্সের ‘জিয়ো’ যুগ।
ভারতীয় রেল কর্মীদের মোবাইলে ‘কর্পোরেট ইউজার গ্রুপ’ বা ‘সিউজি’ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এয়ারটেল থেকে বদলে যাচ্ছে ‘জিয়ো’তে। নিজেদের কর্মী এবং আধিকারিকদের ‘কর্পোরেট-সংযোগ়ে’র জন্য দেওয়া মোবাইল নম্বরের বিল মেটায় রেল। এ জন্য রেলের বছরে প্রায় ১৮০ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয়।
প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ রেল কর্মীর মধ্যে এখন ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার কর্মী ‘সিউজি’ পরিষেবার আওতায় রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রায় ৭২০০ এসএমএস পরিষেবা প্রদানকারী নম্বর রয়েছে। রেলের কর্মীরা ছাড়াও রেলের অধীনস্থ বিভিন্ন শাখা সংস্থার কর্মী এবং আধিকারিক এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন।
এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর ভারতী-এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেলের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। টেন্ডার ডেকে বিকল্প সংস্থা হিসেবে ‘রিলায়্যান্স জিয়ো ইনফোকম’কে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে রেল কর্মীদের কর্পোরেট সংযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্বে ছিল এয়ারটেল। ফোন বিল বাবদ বরাদ্দ অপরিবর্তিত রেখে আগামী ৩ বছরের জন্য রিলায়্যান্সকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল সংযোগের মূল সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ধরে রেলের আরও ৩০% পর্যন্ত নতুন সংযোগ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতি ৬ মাস অন্তর রেল কর্তৃপক্ষ বিলের অঙ্ক এবং তার বদলে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। তবে রেলের কর্মী এবং আধিকারিকদের নম্বর বদল হচ্ছে না। সেগুলি নতুন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থায় ‘পোর্ট’ করা হবে বা বদল করা হবে।
কর্মী এবং আধিকারিকদের জন্য তিন ধরনের সংযোগের ব্যবস্থা করেছে রেল। গ্রুপ-এতে রয়েছেন সর্বোচ্চ কর্তারা। ওই সংযোগের সংখ্যা ২ শতাংশের মতো। গ্রুপ-বি সংযোগের সংখ্যা ২৬ %। গ্রুপ সি ৭২ %।
গ্রুপ-এ র রেন্টাল মাসে ১২৫ টাকা এবং ডেটা ব্যবহারের সীমা ৬০ জিবি। গ্রুপ-বি’র রেন্টাল মাসিক ৯৯ টাকা এবং ডেটা ব্যবহারের সীমা ৪৫ জিবি। গ্রুপ–সিতে রেন্টাল ৬৭ টাকা এবং ডেটা ব্যবহারের সীমা ৩০ জিবি। পাশাপাশি ২০০ জিবি পর্যন্ত ডেটা ‘রোল-ওভার’ বা সঞ্চয় করে রাখার সুবিধে থাকবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলের এক আধিকারিক বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় ডেটা সংক্রান্ত নিয়ম অনেক সরল হচ্ছে। ডেটা’র পরিমাণও বাড়ছে।”
কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্কের কী হবে? চুক্তি অনুসারে প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে রেলের নেটওয়ার্ক এরিয়ার ৯২.৫ শতাংশ পরিষেবার আওতায় আনতে হবে। সাত থেকে ১২ মাসের মধ্যে ওই পরিধি ৯৫% করতে হবে।