বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সভায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—পিটিআই।
দল নয়, দেশ আগে। দলীয় সভায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সোমবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সভার আয়োজন হয়েছিল। ১৩টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এ দিনের সভায়। ছিলেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার বিজেপি সদস্যরা। ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি বিধায়করাও। ২০০০-এরও বেশি প্রতিনিধির সমাবেশে দলের প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সতর্কবার্তা, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না। শুধু ভোটের রাজনীতির কথা ভাবলে চলবে না, তার বাইরেও ভাবতে হবে বিজেপিকে— বার্তা নরেন্দ্র মোদীর।
আরও পড়ুন:পরিবারতন্ত্র কংগ্রেসের সংস্কৃতি, ভারতের নয়, রাহুলকে খোঁচা
স্বচ্ছ ভারত মিশন, নির্মল গঙ্গা অভিযান, বেটি পঢ়াও বেটি বচাও, ডিজিটাল ইন্ডিয়া-সহ একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির সূচনা হয়েছে মোদী ক্ষমতায় আসার পর। এই সব সরকারি কর্মসূচি কতটা সফল, তা নিয়ে সম্প্রতি বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন তোলাও শুরু হয়েছে। বিরোধীদেরকে এই প্রশ্ন তোলার অবকাশ দিতে চান না প্রধানমন্ত্রী। সেই দায়িত্ব দলকেই নিতে হবে, সোমবার তালকাটোরা স্টেডিয়ামের সভায় নিজের দলকে সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও কর্মসূচিই সফল হবে না, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করে সরকারি কর্মসূচিগুলিতে তাঁদের অংশগ্রহণ দলকেই নিশ্চিত করতে হবে, বার্তা মোদীর। তিনি বলেছেন, ‘‘পরম্পরাগত রাজনীতি যেমন চলার চলবে, কিন্তু যে জনাদেশ আমরা পেয়েছি, তাতে রাজনীতিকে আমরা শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি না, তার বাইরেও নিয়ে যাচ্ছি।’’ সে প্রসঙ্গে বলতে বলতেই প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দেশের স্বার্থ আগে, তার পরে দলের স্বার্থ।’’
আরও পড়ুন:সিবিআই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ ‘বাবা’ গুরমিতের
বিজেপিকে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শও এ দিন দিয়েছেন মোদী। শুধু নেতারা নন, নেতাদের আত্মীয়-পরিজনদের নামও যেন দুর্নীতিতে না জড়ায়, দলীয় সভায় সোমবার এমন সতর্কবার্তাও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতি সম্পূর্ণ মুছে না যাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’’