ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে
পরিবার মেনে নেয়নি। তাই প্রেমকে পরিণতি দিতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁদের জোর করে ধরে এনে ‘শাস্তি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। বেদম মারধরের পর নগ্ন করে গ্রামের বাইরে ঘোরানো হল যুগলকে। রাজস্থানের বাঁশওয়ারা জেলার ঘটনা। অত্যাচারের একটি ভিডিও সম্প্রতি পুলিশের হাতে আসায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে যুগলকেও।
পুলিশকে ওই যুগল জানিয়েছেন, নিকট আত্মীয় হওয়ায় পরিবার ওঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ফলে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো গত ২২ মার্চ গুজরাতের এক গ্রামে পালান। কিন্তু ক’দিন পরেই তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। তার পরে গ্রামেই বসে বিচারসভা। প্রথমে দুজনকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, মারধরের পর তরুণীর শ্লীলতাহানি করে সালিশি সভার মোড়লেরা। নগ্ন করে ঘোরানো হয় তাঁদের। চোখের সামনে তা দেখেও প্রতিবাদ করেননি কেউ। উল্টে কেউ কেউ সেই ভিডিও তুলে রাখেন। যুবকের অভিযোগ, ওই ভিড়ের মধ্যে ছিলেন তাঁদের বাবাও। সেখানেই যুগলকে দিয়ে জোর করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় যে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে না। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার পরে গত ১৭ এপ্রিল ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে জোর করে মেয়েটির বিয়ে দেয় তার পরিবার। মেয়েটিকে আটকে রেখেছিল শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তদন্তে নেমে তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।