Arrest

অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিচারপতির গাড়ি ছিনতাই, দুই এবিভিপি সদস্য গ্রেফতার

জোর করে গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ বছরের হিমাংশু শ্রোত্রীয় এবং ২৪ বছরের সুকৃত শর্মা। তাঁরা দু’জনেই এবিভিপির সদস্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল হাই কোর্টের বিচারপতির গাড়ি। চালকের থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ওই গাড়িতে চাপিয়ে অসুস্থ এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর দুই সদস্য। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই দু’জনকে জামিন দিল না মধ্যপ্রদেশের একটি আদালত।

Advertisement

জোর করে গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ বছরের হিমাংশু শ্রোত্রীয় এবং ২৪ বছরের সুকৃত শর্মা। তাঁরা দু’জনেই এবিভিপির সদস্য। বুধবার তাঁদের জামিনের আর্জি খারিজ করে বিচারক সঞ্জয় গোয়াল জানান, বিনয়ের সঙ্গে সাহায্য চাওয়া উচিত। জোর করে সাহায্য আদায় হয় না।

অতিরিক্ত সরকারি প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের ডাকাতি-বিরোধী আইনে সোমবার সঞ্জয় এবং বিনয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়ালিয়র স্টেশনের বাইরে রাখা ছিল এক বিচারপতির গাড়ি। অভিযোগ, চালকের থেকে চাবি ছিনিয়ে গাড়িটি নিয়ে যান দুই অভিযুক্ত। তাতে চাপিয়ে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তাঁরা। মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁর পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তেরা যখন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন স্টেশনের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে গিয়েছিল। অসুস্থকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সই সব থেকে ভাল যান।

Advertisement

এবিভিপি যদিও এই রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ করবে তারা। দলের মধ্যপ্রদেশের সম্পাদক সন্দীপ বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সোমবার দিল্লি থেকে গোয়ালিয়রগামী ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক জন। সেই ট্রেনেই ছিলেন এবিভিপির সঞ্জয় এবং বিনয়। ট্রেন স্টেশনে থামতেই অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন দু’জনে। সন্দীপের দাবি, ২৫ মিনিটেও আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে তাই বিচারকের গাড়িতে চাপিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সন্দীপের আরও দাবি, সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারলে বেঁচে যেতেন ওই ব্যক্তি। এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন