দৈনিক সংক্রমণ ৬ মাস পর ২০ হাজারের নীচে, সক্রিয় রোগী ৩ লক্ষের কম

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৬ জন। প্রায় ৬ মাস পর এত কম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৫৫
Share:

দেশের করোনা চিত্র। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

৩ জুলাই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়েছিল। যত দিন পেরিয়েছে, তা নির্দিষ্ট গতিতে বেড়েছে। বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছেছিল ১ লক্ষের দোড়গোড়ায়। তার পর প্রতিদিন নতুন কোভিড আক্রান্ত হওয়া কমতে শুরু করেছিল। সেই সংখ্যা কমতে কমতে আজ, মঙ্গলবার ২০ হাজারের নীচে নামল। দৈনিক মৃত্যুও অগস্ট-সেপ্টেম্বরের সময় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন তা কমে ৩০০-র ঘরে নেমে এসেছে। দৈনিক সংক্রমণের হারের বিষয়টিও তাই। ‘ডবল ডিজিটে’ তা বহুদিনই নেই। কমতে কমতে মঙ্গলবার নেমেছে ২ শতাংশের নীচে। যদিও করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষের বেশি। সুস্থ হতে হতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষের নীচে নেমেছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৬ জন। প্রায় ৬ মাস পর এত কম। এখন অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৫ হাজার। মোট আক্রান্তে বিশ্বের প্রথম আমেরিকা। সেখানে আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও সেখানে রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন ২ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৭২ লক্ষ ৬৩ হাজার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনা ভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ১১১ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০১ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৪৮,৮০১)। কর্নাটকে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজারের দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে। দিল্লিতে তা ১০ হাজার পার করেছে। মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৯,৪০১), উত্তরপ্রদেশ (৮,২১২), অন্ধপ্রদেশও (৭,০৭৮)।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। ১ কোটি আক্রান্তের মধ্যে ৯৬ লক্ষের বেশি সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৭৬ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৮ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৭২ হাজার ২২৮ জনের। সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ১.৮২ শতাংশ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫১৫ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার পেরিয়েছে। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ১২ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement