গোবরের তৈরি দীপাবলির সামগ্রী দেখাচ্ছেন বল্লভভাই কাথিরিয়া। ছবি: পিটিআই
গোবর, গোমূত্রের গুণগানে প্রায়ই মজে থাকেন গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। করোনা রুখতেও এই দাওয়াই অব্যর্থ বলে এক সময় দাবি করেছিলেন তাঁরা। কোভিড ঠেকাতে দিল্লিতে ‘গোমূত্র পার্টি’ও করেছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এ বার কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধজাত পণ্য মন্ত্রকের অধীন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ (আরকেএ)-এর চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথিরিয়া দাবি করলেন, রেডিয়েশন বা বিকিরণও রুখে দিতে পারে গোবর! গরুর বর্জ্য দিয়ে তৈরি চিপ মোবাইলে ব্যবহার করলে সেটির বিকিরণ নাকি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে। এ কথা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, দাবি তাঁর।
গত কাল গোবরজাত সেই চিপ প্রকাশ করে কাথিরিয়া বলেন, ‘‘এই দেখুন রেডিয়েশন চিপ। এটা মোবাইলে ব্যবহার করলে তা ক্ষতিকর বিকিরণ অনেকটাই কমাবে। তাই রোগজ্বালা থেকে বাঁচতে এই চিপ ব্যবহার করা উচিত।’’ ‘গৌস্তভ কবচ’ নামের এই চিপটি তৈরি করেছে রাজকোটের শ্রীজি গোশালা। চিপ প্রকাশের সঙ্গে ‘কামধেনু দীপাবলি অভিযান’-এর সূচনাও করেন কাথিরিয়া। এই অভিযানের লক্ষ্য হল গোবরজাত পণ্যের প্রসার ঘটানো। এর আগে গোবরের প্রদীপ থেকে গণেশ—অনেক কিছুই বানিয়েছে গরুর সংরক্ষণ, রক্ষা এবং উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর আরকেএ।
সম্প্রতি অভিনেতা অক্ষয় কুমার জানান, আয়ুর্বেদিক কারণে তিনি গোমূত্র পান করেন। তা উল্লেখ করে কাথিরিয়া বলেন, ‘‘আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন, কিছু দিন আগে অভিনেতা অক্ষয় কুমার কী বলেছেন। আপনারাও এটা খেতে পারেন। এটা ওযুধ। আমরা আমাদের সনাতন বিজ্ঞান ভুলে গিয়েছি। যা কিছু পৌরাণিক গল্প বলে পরিচিত, সেই সব নিয়েই আমরা গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছি।’’ তিনি জানান, পাঁচশোর বেশি গোশালা এই বিকিরণ-রোধী চিপ তৈরি করছে। এক-একটি চিপের দাম পড়বে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আমেরিকাতেও পাঠানো হচ্ছে এই চিপ। সেখানে একটি চিপ বিক্রি হচ্ছে ১০ ডলারে।