বাইশ বছর পরে আবার ‘ঐতিহাসিক ভুল’! সে বার বলেছিলেন স্বয়ং জ্যোতি বসু। এ বার বললেন পার্টি কংগ্রেসে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।
রাজনৈতিক লাইন কী হয়েছে, তা নিয়ে দলের এক নেত্রীর মন্তব্যেই যখন বাইরে বিভ্রান্তি, একই দিনে পার্টি কংগ্রেসের ভিতরে প্রতিনিধিরা সরব সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনায়। বাইরের বিভ্রান্তির ছাপ আজ পার্টি কংগ্রেসের ভিতরে পড়়েনি। বরং, পলিটব্যুরোর বর্ষীয়ান সদস্য এস আর পিল্লাইয়ের পেশ করা রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্টের উপরে আলোচনায় ওড়িশার দুষ্মন্ত দাস সরাসরিই বলেছেন, বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় সংসদে অগ্রগণ্য কণ্ঠ ছিল ইয়েচুরির। তাঁকে রাজ্যসভায় না পাঠানো ফের ‘ঐতিহাসিক ভুল’! এখন সংসদে বাম কণ্ঠই তার ফলে ক্ষীণ হয়ে পড়়েছে। প্রায় একই সুরে ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিহারের রামকুমারী, উত্তরপ্রদেশের প্রেমনাথ রাই, মধ্যপ্রদেশের রাম নারায়ণ কুরারিয়া, মহারাষ্ট্রের এম এইচ শেখ, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াই ভি রাও প্রমুখ। তাঁদের মত, কংগ্রেস যখন স্বেচ্ছায় সমর্থনে রাজি ছিল, তখন জাতীয় স্বার্থে ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠানো উচিত ছিল। তাতে প্রথা ভাঙলে ভাঙত! চতুর্থ দিনেও স্পষ্ট, পার্টি কংগ্রেসের কক্ষে এ বার ইয়েচুরির পক্ষেই মত ভারী।