বহুতলের কার্নিসে দাঁড়িয়ে হুমকি অভিযুক্তের। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আত্মসমর্পণ করার চেয়ে মৃত্যু ভাল! এক বহুতলের পাঁচ তলার কার্নিসে দাঁড়িয়ে এই ভাবেই চিৎকার করছেন এক যুবক। আর তাঁকে ধরতে চারপাশ থেকে ঘিরে রয়েছে পুলিশ। কিন্তু কেউই সাহস করে ওই যুবকের কাছে যেতে পারছেন না। ভয় একটাই, যদি সত্যিই ঝাঁপ দিয়ে দেন! দীর্ঘ ক্ষণ এই টালবাহানা চলার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই যুবককে ধরতে সক্ষম হয়।
ঘটনাটি গুজরাতের অহমদাবাদের। পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় পুলিশকে। অভিযুক্তের নাম অভিষেক। তবে এলাকায় ‘শুটার’ নামে পরিচিত তিনি। পুলিশ বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল। কিন্তু কোথায় অভিষেক গা-ঢাকা দিয়েছেন, তা জানা ছিল না পুলিশের। শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। এলাকার একটি বহুতলের পাঁচ তলায় তাঁর ফ্ল্যাট। পুলিশ যখন তাঁর ফ্ল্যাটের জরজায় ধাক্কা দেয়, তখন ঘরের মধ্যেই ছিলেন অভিষেক।
দরজা না-খুলেই রান্নাঘরের জানলা দিয়ে কার্নিসে নেমে যান অভিষেক। প্রথমে তিনি কার্নিস বেয়ে নীচে নেমে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নীচে পুলিশ এবং স্থানীয়েরা জড়ো হওয়ায় সেই সুযোগ পাননি অভিষেক। পুলিশ বিভিন্ন ভাবে তাঁর নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই অভিষেক ধরতে পারছিল না তারা। বার বার অভিষেককে আত্মসমর্পণ করতে বলেন উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। তখনই অভিষেককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আত্মসমপর্ণ করব না। তার চেয়ে মৃত্যু ভাল।’’ কার্নিস থেকে ঝাঁপ মারার হুমকি দেন অভিষেক।
শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে খবর দেওয়া হয় দমকল এবং উদ্ধারকারী দলকে। বেশ কিছু ক্ষণ ‘দর কষাকষি’র পর অভিষেককে উদ্ধার করে নীচে নামানো সম্ভব হয়। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে পুলিশের অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিকের মোবাইলে রেকর্ড করা ভিডিয়োয়। গ্রেফতারের পর অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অজিত রাজিয়ান বলেন, ‘‘অহমদাবাদের বিভিন্ন থানায় এই অভিষেকের নামে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছিল। এত দিনে তাঁকে ধরা গিয়েছে।’’