নরেন্দ্র মোদী।
এ বার সরাসরি নয়, কৌশলে বার্তা! এমনিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অরুণাচলে এলেই চিন ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ বার তাই অরুণাচলকেই নিজের রাজ্যে নিয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
কৃষ্ণ তো গুজরাতি রাজা ছিলেনই, এ বার লোকগাথাকে আশ্রয় করে কৃষ্ণপত্নী রুক্মিণীকে অরুণাচলি দাবি করে গুজরাতের মাধবপুর মেলার থিম তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ঠারেঠোরে চিনকে জানানো, সেই মহাভারতের আমল থেকেই অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ!
মাধবপুরে প্রতি বসন্তে, রামনবমীর সময়ে বিরাট মেলা বসে। এ বারের মূল বিষয়: কৃষ্ণ ও রুক্মিণীর বিবাহ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই মোদী অরুণাচলে এলেই কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। এ বারের মেলায় তাই কৃষ্ণের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, কন্যাপক্ষ বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত। লোককথা অনুযায়ী, রাজা ভীষ্মকের কন্যা, অরুণাচলের ইদু-মিসমি উপজাতির মেয়ে রুক্মিণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু শিশুপালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের আগেই কৃষ্ণ রুক্মিণীকে নিয়ে পালান। পোর বন্দরের ‘মাধবপুর ঘের’-এ কৃষ্ণ ও রুক্মিণীর বিয়ে হয়েছিল। সেই মাধবরাই মন্দিরে প্রতি বছর ধুমধাম করে তাঁদের বিবাহবার্ষিকী পালিত হয়।
আরও পড়ুন: ন’টি স্কুল গড়ে স্বপ্ন এখন কলেজ তৈরির
এ বছর গুজরাত সরকার রুক্মিণীর রাজ্য থেকে প্রায় শ’দুয়েক শিল্পী ও অতিথিকে মাধবপুর মেলায় নিয়ে গিয়েছেন। হাজির হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এবং রাজ্যের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও। সরাসরি চিনের নাম না করেও ওই মেলার মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল, অরুণাচলকে যতই দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করুক চিন, আসলে তারও বহু আগে থেকেই অরুণাচল ভারতেরই অংশ।