Arunachal Pradesh

একের পর এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন! অরুণাচলে থানা থেকে টেনে এনে গণপিটুনি তরুণকে, মৃত্যু

১৯ বছর বয়সি অভিযুক্ত তরুণ অসমের পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। গত বেশ কিছু দিন ধরে এলাকারই এক স্কুলের কাছে একটি নির্মাণাধীন স্থানে কাজ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের হস্টেলে ঢুকে একাধিক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ২০:৫৫
Share:

গণপ্রহারে মৃত্যু তরুণের। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

একের পর এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তরুণকে পিটিয়ে খুন অরুণাচলে! শুক্রবার সন্ধ্যায় অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার দিবাং ভ্যালি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। গেট ভেঙে থানা থেকে টেনে বার করে এনে অভিযুক্ত তরুণকে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বেধড়ক মারধর করে উন্মত্ত জনতা। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছে। জনরোষ সামাল দিতে সজাগ রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯ বছর বয়সি অভিযুক্ত তরুণ অসমের পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। গত বেশ কিছু দিন ধরে এলাকারই এক স্কুলের কাছে একটি নির্মাণাধীন স্থানে কাজ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের হস্টেলে ঢুকে একাধিক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তরুণের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে স্থানীয়েরাই তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিকেল হতে না হতেই জনরোষ বাড়তে থাকে। ৫০০ থেকে ৬০০ জন স্থানীয় থানার বাইরে ভিড় জমান। এক সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। গেট ভেঙে থানায় ঢুকে পড়েন স্থানীয়েরা। তাঁরাই তরুণকে টেনে বার করে এনে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। এর পর যত ক্ষণে তরুণকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

পুলিশ সুপার রিঙ্গু এনগুপোক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘শুক্রবার দুপুর আড়াইটে থেকে রোয়িং থানার বাইরে কয়েকশো মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁরা গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। আমরা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা অভিযুক্তকে টেনে বাইরে নিয়ে যান।” রিঙ্গু জানিয়েছেন, ওই তরুণের বিরুদ্ধে অন্তত সাত জন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতাদের সকলেরই বয়স ছয় থেকে নয় বছরের মধ্যে। ওই ঘটনার পরেই কার্ফু জারি হয়েছে রোয়িং শহরে। শহরে অতিরিক্ত চার কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নজরে রাখতে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং। সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement