Cyclone

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘বিপর্যয়’! কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা?

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, আরব সাগরে জলের তাপমাত্রা আগে যতটা ঠান্ডা ছিল, এখন তার তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৯:৪৮
Share:

আরব সাগরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘বিপর্যয়’-এর। ছবি: পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ বিদায় জানানোর পর এক মাসও পার হয়নি। তার মধ্যেই আরব সাগরের বুকে দানা বাঁধতে চলেছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের তরফে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘বিপর্যয়’-এর। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিন দিনে আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আসলে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আরব সাগরের নিকট উপকূলবর্তী এলাকা ভারত, ওমান, ইরান এবং পাকিস্তানের আবহাওয়ায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

মৌসম ভবন জানিয়েছে, পরিবেশগত পরিস্থিতি এবং আকাশে পুঞ্জীভূত মেঘ দেখে অনুমান করা যায়, ১২ জুনের মধ্যে ‘বিপর্যয়’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে ফেলতে পারে। এর ফলে প্রভাব পড়বে বর্ষার আগমনেও। সাধারণত ১ জুন কেরলে বর্ষার আগমন ঘটে। খুব দেরি হলেও জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি ঢুকে পড়ে কেরলে।

তবে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেরলে আগামী দু’দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষা ঢুকে পড়লেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। কেরলের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের শেষে মৌসুমি বায়ু পৌঁছে যেতে পারে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার আগমন ধাক্কা খেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন আবহবিদেরা।পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, আরব সাগরে জলের তাপমাত্রা আগে যতটা ঠান্ডা ছিল, এখন তার তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisement

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, আরব সাগরের জলের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরির সংখ্যা আগের চেয়ে ৫২ শতাংশ এবং অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরির সংখ্যা আগের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, প্রাক্‌-বর্ষার সময় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বেশি তৈরি হয় আরব সাগরের বুকে। প্রাক্-বর্ষায় আরব সাগরে ৪০ শতাংশ ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলে বর্ষার পর তা কমে দাঁড়ায় ২০ শতাংশে। পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং দ্রুত গতিতে আবহাওয়া পরিবর্তনও এর নেপথ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন