কলকাতায় ১৭ ঘণ্টা উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকায় শুধু এ শহর নয়, উত্তর-পূর্বের উড়ান পরিষেবাও বিপর্যস্ত।
শনিবার সকাল পৌনে দশটায় এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান শহর থেকে আগরতলা উড়ে যাওয়া পর্যন্ত প্রায় তিনশো উড়ান বাতিল হয়েছে। কলকাতা থেকেই বিমান উত্তর-পূর্বের শহরে গিয়ে যাত্রীদের নিয়ে আসে। ফলে, গুয়াহাটি-সহ উত্তর-পূর্বের সমস্ত বিমানবন্দর থেকেও প্রচুর উড়ান বাতিল হয়েছে।
শনিবার দুপুরে খুলেছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরও। ফণীর দাপটে বিমানবন্দরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে এ দিন রাঁচী থেকে অ্যালায়েন্সের বিমান গিয়ে নামে। পরিকাঠামোগত ক্ষতি তাড়াতাড়ি সারিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল আটটায় কলকাতা বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার এশিয়া, গো-এয়ারের বিমান উড়তে শুরু করে। কলকাতা থেকে বেশি উড়ান চালানো ইন্ডিগো, স্পাইসজেট তাদের উড়ান চালু করেছে সন্ধ্যা ছ’টার পরে। দুপুরে ইন্ডিগোর একটি উড়ান বেঙ্গালুরু উড়ে গিয়েছে। উড়ান সংস্থাগুলির যুক্তি, বৃহস্পতিবার বলা হয়েছিল শনিবার
সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তখনই সমস্ত উড়ানের যাত্রীদের সেই বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁদের ডেকে এনে উড়ান চালানো সম্ভব নয়।
ফলে, শনিবারেও যাতায়াত মিলিয়ে কলকাতা থেকে প্রায় দু’শো উড়ান বাতিল করতে হয়েছে। দু’দিনে যাঁদের উড়ান বাতিল হয়েছে,
তাঁরা চাইলেই রবিবার বা সোমবার গন্তব্যে যেতে পারবেন না। কারণ, আগামী দিনে উড়ানে আগে থেকে যাঁদের টিকিট কাটা রয়েছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার পরে জায়গা থাকলে আটকে পড়া যাত্রীরা আসন পাবেন।
ফলে এই পুরো জট ছাড়তে বুধবার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন উড়ান সংস্থার অফিসারেরা। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে।’’
কলকাতার পাশাপাশি গুয়াহাটি থেকে যাতায়াত মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ৫৯টি উড়ান। তার মধ্যে ইন্ডিগোর একারই রয়েছে ৪১টি। আগরতলা থেকে বাতিল হয়েছে ৮টি। উড়ান বাতিল হয়েছে ডিমাপুর, ইম্ফল, ডিব্রুগড়,
লীলাবাড়ি থেকেও। শনিবার সকালে কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান আগরতলা পৌঁছনোর পরে সেখানে আটকে থাকা ইন্ডিগোর ৪০ জন যাত্রীকে ওই উড়ানে কলকাতায় ফেরত পাঠান উড়ান সংস্থার ম্যানেজার সুজয় ঘোষ। আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে যেতে আগরতলা থেকে সন্ধ্যায় বড় বিমানও চালায় এয়ার ইন্ডিয়া।