প্রতীকী ছবি।
নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া হরিয়ানায়। এ বার দলিত পরিবারের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ জানুয়ারি টিউশন পড়তে গিয়েছিল বছর পনেরোর মেয়েটি। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। তিন দিন পর শনিবার একটি খালের পাশ থেকে তার ছিন্নভিন্ন অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রোহতকে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর চিকিত্সকরা জানান, কিশোরীর শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ফরেন্সিক সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান চিকিত্সক এস কে ধত্তরবাল বলেন, “মেয়েটিকে একাধিক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করেছে। যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দেহে অনেক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল তরুণের
প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত পঞ্চম শ্রেণির তিন ছাত্র
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার পর ঝাঁসা থানায় মেয়েটির পরিবারের তরফে একটি ডায়েরি করা হয়েছিল। যে দিন মেয়েটি নিখোঁজ হয়, ওই দিনই এলাকার একটি ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনার পিছনে ওই ছেলেটির হাত থাকতে পারে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা। অপরাধীদের ধরতে কুরুক্ষেত্র পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে।
এসএসপি অরুণ কুমার বলেন, “বুধাখেড়া গ্রামের রাজওয়া গ্রাম থেকে অর্ধনগ্ন একটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”