প্রতীকী ছবি।
দলিত আইন নিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তৃণমূলের তফসিলি জাতি-উপজাতির সাংসদরা। অন্য দলের তফসিলি জাতি-উপজাতির নেতাদের একজোট করার পরিকল্পনা চলছে। লোকসভায় তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জনই তফসিলি জাতি-উপজাতি ভুক্ত। মমতা ঠাকুর, প্রতিমা মণ্ডল, সুনীল মণ্ডলরা ঠিক করেছেন, তাঁরা দল বেঁধে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হবেন।
তফসিলি জাতি-উপজাতি নির্যাতন বিরোধী আইনের অপব্যবহার রুখতে সম্প্রতি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে নরেন্দ্র মোদী সরকারও অবস্থান নিয়েছিল, ১৯৮৯ সালে রাজীব গাঁধীর সরকারের তৈরি এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধীরা মোদী সরকারকে ‘দলিত বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে মাঠে নেমেছে। বিজেপির দলিত সাংসদ, রামবিলাস পাসোয়ানের মতো শরিক দলের নেতারাও দাবি তুলেছেন, মোদী সরকার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে আর্জি জানাক।
এ বার তৃণমূলও মাঠে নামছে। তৃণমূলের ১২ জন তফসিলি জাতি-উপজাতি ভুক্ত সাংসদ ইতিমধ্যেই সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন। এবার তাঁরা অন্য অ-বিজেপি দলের তফসিলি জাতি-উপজাতির সাংসদদের সঙ্গেও কথা বলছেন। পরিকল্পনা চলছে, সংসদ খুললে মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে।