ছবি: পিটিআই
দলিতদের উপর লাগাতার অত্যাচারের বিরুদ্ধে সভা করেছিলেন হাজার দশেক মানুষ। সেই সভা থেকে ফেরার পথেই ফের হামলার অভিযোগে উত্তাপ ছড়াল গুজরাতের উনায়। তাঁদের অভিযোগ, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আট দলিত যুবক। ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির থাকলেও হামলাকারীদের রুখতে এগিয়ে আসেনি তারা।
দলিতদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে গত কাল, স্বাধীনতা দিবসে সভার আয়োজন করা হয়েছিল উনার একটি সরকারি স্কুল লাগোয়া মাঠে। গত মাসে গো-হত্যার অভিযোগে চার দলিত যুবককে উলঙ্গ করে মারধর করার ঘটনায় এখনও ফুঁসছে গুজরাত। দলিতদের দাবি, ন্যায্য অধিকার না পেলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মঘাতী পড়ুয়া রোহিত ভেমুলার মা রাধিকা ভেমুলা ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। অভিযোগ, সোমবারের সেই সভা থেকে ফেরার সময়ই দলিতদের উপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা। উন্মত্ত জনতার মধ্যে পড়ে আহত হন চার পুলিশ কর্মী।
আক্রান্তদের দাবি, হামলাকারীরা সামতের গ্রামের বাসিন্দা। গত মাসে দলিত নিগ্রহের ঘটনায় যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তার বদলা নিতেই এই আক্রমণ। আগে থেকে আটঘাট বেঁধে তৈরি ছিল তারা। হামলার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় আশপাশের সব রাস্তা। ফলে পালানোরও কোনও উপায় ছিল না। পুলিশের এক কর্তা জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হন তারা। যদিও আক্রান্তরা সে দাবি মানছেন না। তাঁরা জানান, দলিতদের উপর হামলা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। গো-রক্ষকদের হাতে একের পর এক দলিত নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে গুজরাত। সোমবারের হামলার ঘটনায় সেই উত্তাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।