রাফাল যুদ্ধবিমান। —ফাইল চিত্র।
‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় তিনটি রাফাল-সহ ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফালের প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ‘ঠিক নয়’ বলে জানাল। একই সঙ্গে সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছু জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার।
একটি ফরাসি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরিক বলেন, “ভারত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই আমরা জানি না, ঠিক কী হয়েছে। তবে আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি, পাকিস্তানিরা যা বলছেন (রাফাল গুলি করে নামানো নিয়ে), তা ঠিক নয়।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা দেখব, বিমানগুলি যুদ্ধের লক্ষ্যপূরণে সফল হয়েছে কি না। যখন সত্যিটা সামনে আসবে, অনেকেই হয়তো অবাক হবেন।”
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, গত মে মাসে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা মেনে নেন সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান।
সাক্ষাৎকারে অনিলকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘জেনারেল, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। পাকিস্তান কি ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল? এক বা একাধিক?’’ সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেননি ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংসটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেন সেটা ধ্বংস হল, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’ সাংবাদিক এর পর আরও জোর দিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘‘তার মানে অন্তত একটি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানি হামলায় ধ্বংস হয়েছিল?’’ সংক্ষেপে ‘হ্যাঁ’ বলে অনিল ভারতীয় সেনার কৌশল ব্যাখ্যায় জোর দেন। কিন্তু সেনা সর্বাধিনায়কের কথায় স্পষ্ট হয়নি যে, রাফাল যুদ্ধবিমানই ধ্বংস হয়েছে কি না।
রবিবার প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্তা দাবি করেন যে, রাফালই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান। তিনি জানান যে, আমেরিকার এফ-৩৫ কিংবা চিনের তৈরি যুদ্ধবিমানের চেয়ে রাফাল অনেক ভাল। তাঁর কথায়, ফরাসি সামরিক বাহিনীর তো বটেই, যে সমস্ত দেশ রাফাল কিনেছে, তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম রাফাল।