Telangana High Court

কন্যার আর্থিক অবস্থা ভাল, তা সত্ত্বেও পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার পাবেন: তেলেঙ্গনা হাই কোর্ট

পৈতৃক সম্পত্তিতে তাঁর অধিকার নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, যে হেতু তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল। তাই বাবার সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২০
Share:

পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না মেয়েকে, নির্দেশ তেলেঙ্গনা হাই কোর্টের। — ফাইল চিত্র।

মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ভাল, শুধুমাত্র সেই কারণেই তাঁকে তাঁর বাবার স্ব-অর্জিত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সোমবার এক মামলার শুনানিতে তেলঙ্গানা হাইকোর্ট এমনই নির্দেশ দিয়েছে। আদালত আরও বলেছে, পিতার সম্পত্তিতে তাঁর মেয়ের অধিকার কখনই অস্বীকার করা যায় না।

Advertisement

পৈতৃক সম্পত্তিতে তাঁর অধিকার নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, যে হেতু তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল। তাই বাবার সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। মহিলার দাদা আদালতে জানান, তাঁদের বাবাই উইল করে বোনকে সম্পত্তিকে বাদ দিয়ে গিয়েছেন। কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ হিসাবে মামলাকারীর আর্থিক অবস্থাকেই তুলে ধরা হয়েছিল।

যদিও আদালত সেই যুক্তি মানেনি। তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি এমজি প্রিয়দর্শিনীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে মামলাকারীর দাদার বক্তব্য ছিল, বোনের বিয়ের সময় তাঁদের বাবার সম্পত্তির একটা অংশ যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও তাঁর বোন সম্পত্তির ভাগ চেয়েছেন।

Advertisement

হাই কোর্ট বলে, বিয়ের সময় মামলাকারীকে যে সম্পত্তির অংশ যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই। তবে যৌতুক হিসাবে কিছু দেওয়া হলেও মেয়েকে তাঁর বাবার সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সেই সঙ্গে আদালত মামলাকারীর মায়ের সাক্ষীর উপর জোর দিয়েছে। তাঁর মা ট্রায়াল কোর্টে এক লিখিত বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেই বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, তাঁর উভয় সন্তানই তাঁদের মৃত বাবার স্ব-অর্জিত সম্পত্তিতে সমান ভাগ পাবেন।

২০২১ সালে এক মামলায় তেলঙ্গানার আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, বিবাহিত মেয়েরা যদি তাঁদের পিতামাতার উপর নির্ভরশীল না থাকেন তবে তাঁদের মৃত বাবা-মায়ের চাকরি পাবেন কিনা তা বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। বিচারপতি শুনানির সময় বলেছিলেন, “কর্মজীবী বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সমবেদনার ভিত্তিতে বিবাহিত মহিলারা চাকরির জন্য যোগ্য, তবে তাঁর সত্যি এটির প্রয়োজন রয়েছে কিনা তাও দেখা গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন