আমেরিকার টাকাতেই পাকিস্তান যায় হেডলি

মার্কিন সরকারের মাদক বিরোধী সংস্থাই তাকে পাকিস্তানে যাওয়ার টাকা দিয়েছিল বলে দাবি করল লস্কর জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি। ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত হেডলি আজ মুম্বইয়ের আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানির সময়ে আরও বলে, লস্কর-ই-তইবার কাছ থেকে সে কখনও টাকা নেয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৬ ০১:২২
Share:

মার্কিন সরকারের মাদক বিরোধী সংস্থাই তাকে পাকিস্তানে যাওয়ার টাকা দিয়েছিল বলে দাবি করল লস্কর জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি। ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত হেডলি আজ মুম্বইয়ের আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানির সময়ে আরও বলে, লস্কর-ই-তইবার কাছ থেকে সে কখনও টাকা নেয়নি। বরং ২০০৬ পর্যন্ত সে-ই লস্করকে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা ‘দান’ করেছিল।

Advertisement

২৬/১১ হামলায় অবশ্য সেই টাকা ব্যবহার করা হয়নি বলেই দাবি হেডলির। তার কথায়, ‘‘আমি শেষ বার টাকা দিই ২০০৬-এ। সেই সময়ে ২৬/১১ হামলার কোনও পরিকল্পনা ছিল না।’’ হেডলির বক্তব্য, কোনও বিশেষ অপারেশনের জন্য ওই টাকা সে দেয়নি। নিউ ইয়র্কে নিজের ব্যবসা ও পাকিস্তানে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা সে জোগাড় করেছিল। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সে কথা জানতেন না।

মার্কিন সরকারের হয়ে সে কোনও চরবৃত্তি করেনি বলেই দাবি হেডলির। সে জানায়, ১৯৯৮ সালে মার্কিন মাদক বিরোধী সংস্থা ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অথরিটি (ডিইএ)-র হাতে সে ধরা পড়ে। হেডলির কথায়, ‘‘ডিইএ আমাকে পাকিস্তান যাওয়ার টাকা দেয়। তার মানে এই নয় যে, ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত সময়টায় আমি ডিইএ-র জন্য তথ্য জোগাড় করছিলাম।’’ আজ কোর্টে হেডলি কবুল করে, তার ঘনিষ্ঠ পাক নাগরিক তাহাউর রানা তার লস্কর-যোগের কথা জানত। তাহাউরের বিরুদ্ধেও লস্কর-যোগের অভিযোগ উঠেছিল। হেডলির দাবি, মুম্বইয়ে তাহাউরের দফতর সে ব্যবহার করুক, তা আদৌ চায়নি এই পাক নাগরিক। ফলে ২০০৮-এর জুলাইয়ের পর ওই দফতর আর সে ব্যবহার করেনি।

Advertisement

প্রথম স্ত্রী শাজিয়াকে নিয়ে মুখ খোলেনি হেডলি। বলতে চায়নি তিনি এখন কোথায়, হেডলির লস্কর-যোগ নিয়ে তাঁর কী মত। বরং বেশ চড়া সুরেই সে বলেছে, ‘‘আপনি আদৌ কি বুঝতে পারছেন, আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর কথোপকথন একান্ত ব্যক্তিগত! এ নিয়ে কোনও কথা বলব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement