New Born

শ্মশানে যাওয়ার আগে বেঁচে উঠল ‘মৃত’ শিশু !

শিশুপুত্রটির পরিবারের দাবি, প্লাস্টিকের ভিতর থেকে খচ-খচ শব্দ শুনেই খটকা লাগে। আর তা খুলতেই সবার চক্ষু চড়কগাছ। ভিতরে শ্বাসকষ্টে ছটফট করছে এক দিনের ছোট্ট শিশু...

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ১৮:২৮
Share:

ছবি: ফাইল চিত্র

চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে একের পর এক খবর শিরোনামে। কিন্তু এবার যা ঘটল তাতে চোখ কপালে উঠে যাবে। প্লাস্টিকে মুড়ে সদ্যোজাতকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিল রাজধানীর এক সরকারি হাসপাতাল! শেষকৃত্যের আগে সন্তানের মুখ দেখতে গিয়ে আসল ঘটনা ফাঁস। শিশুপুত্রটির পরিবারের দাবি, প্লাস্টিকের ভিতর থেকে খচ-খচ শব্দ শুনেই খটকা লাগে। আর তা খুলতেই সবার চক্ষু চড়কগাছ। প্লাস্টিকের ভিতর শ্বাসকষ্টে ছটফট করছে এক দিনের ছোট্ট শিশু।

Advertisement

ঘটনাটি নয়া দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের। রবিবার ভোরে মেটারনিটি ওয়ার্ডের নার্সরা বাবা রোহিত কুমারকে জানান, ‘‘মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী শান্তিদেবী।’’ সদ্যোজাতের ‘দেহ’ কোলে তখন কথা হারিয়েছেন বাবা। সন্তানের জন্ম দিয়ে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তাই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। বাবার মাথায় তখন এক দিনের ছেলের শেষকৃত্যের চিন্তা। ‘দেহ’ বাড়িতে নিয়ে যান বাবা। তাঁর দাবি, ‘‘পরিবারের সদস্যরা একবার ছেলের মুখ দেখতে চান। তাঁদের অনুরোধে প্লাস্টিক খুলতেই দেখা যায়, হাত-পা নাড়ছে ছেলে। শ্বাস নিতে চাইছে।’’

কিন্তু কীভাবে হল এতটা গাফিলতি?

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, ‘‘২৪ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শান্তিদেবী। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ৪৬০ গ্রামের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চা জন্মের পর সে না কাঁদায় নিয়মমাফিক কাঁদানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শিশুটি বেশ কিছুক্ষণ নড়াচড়া না করলে তাকে মৃত বলে ধরে নেন নার্সরা।’’

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এমন পরিস্থিতিতে কেন কোনও চিকিৎসককে কল করলেন না নার্সরা? কীভাবেই বা একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের বিনা অনুমতিতে সদ্যোজাতকে প্লাস্টিকে মুড়ে ফিরিয়ে দেওয়া হল?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে গাফিলতি কার তার কাটাছেঁড়ার আশ্বাসও দিয়েছে। কিন্তু ভেবে দেখুন, যদি প্লাস্টিকটি না খোলা হত!

কয়েকদিন আগেই এ রাজ্যের হাওড়া জেলা হাসপাতালে জয়নারায়ণ পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ফুল-মালা নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে আত্মীয়রা দেখেন, দিব্বি হেঁটে বেড়াচ্ছেন ‘মৃত’। হাসপাতালের বেডে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।

আরও পড়ুন, ‘মৃত’ কাকা ঘুরছেন হাসপাতালে!

সব মিলিয়ে এ ধরনের ঘটনার জেরে দেশের সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ছে। সফদরজং-এর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি আপাতত ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

আর সব শেষে রবিবারের মতো ফাদার্স ডে রোহিত কুমার হয়তো কোনওদিন ভুলবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন