দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ উপাচার্যকে নিয়ে সিদ্ধান্ত শীঘ্রই

সুতোয় ঝুলছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহের ভাগ্য। পদাধিকার বলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দীনেশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে তাঁকে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। জবাবও দিয়েছেন দীনেশ। তাঁর বক্তব্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪৪
Share:

সুতোয় ঝুলছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহের ভাগ্য।

Advertisement

পদাধিকার বলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দীনেশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে তাঁকে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। জবাবও দিয়েছেন দীনেশ। তাঁর বক্তব্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মন্ত্রক। চলতি সপ্তাহেই দীনেশকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

কী অভিযোগ রয়েছে দীনেশ সিংহের বিরুদ্ধে?

Advertisement

তাঁর কাছ থেকে তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছিল মন্ত্রক। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না পাওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠ্যক্রম চালু করেছিলেন। ওই সিদ্ধান্তের এক বছরের মধ্যেই ফের তিন বছরের পাঠ্যক্রমে ফিরে আসতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। যার জেরে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত—কেন তিনি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রদের জন্য আসা অনুদান কম্পিউটার কেনার জন্য ব্যবহার করেছেন। তৃতীয়ত- এআইসিটিই-র অনুমতি ছাড়া কী ভাবে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রম চালু করলেন।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দীনেশ। সূত্রের খবর, নিজের জবাবে তিনি দাবি করেছেন, চার বছরের পাঠ্যক্রম চালু করার জন্য সব মহলের সম্মতি নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় অভিযোগ নিয়ে তাঁর যুক্তি, সে সময়ে কম্পিউটার কেনার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। তাই অন্য খাত থেকে অর্থ নেওয়া হয়। ইউজিসি থেকে কম্পিউটারের জন্য অর্থ আসতেই তা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রদের খাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় অভিযোগ নিয়ে দীনেশের ব্যাখ্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রম চালু করতে এআইসিটিই-র সম্মতির প্রয়োজন হয় না।

দীনেশ এই যুক্তি দিলেও, একাধিক রাজনৈতিক দল দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে সরাতে চেয়ে সরব রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত কালও মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে সরব হন একাধিক সাংসদ। খোদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও ব্যক্তিগত ভাবে দীনেশকে সরাতে চাইছেন। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে দীনেশের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁকে এখনও সরাতে পারেননি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন