মোদী, অমিতকে বিঁধলেন দীপা

মোদীর অস্ত্রেই মোদীকে বিঁধলেন দীপা দাশমুন্সি! ঝাড়খণ্ডে অনুন্নয়নের জন্য ভোট-প্রচারে বার বার কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলছেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এ বার পাল্টা জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপাদেবী। আজ রাঁচির সুভাষ চকে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড গঠনের পর ১৪ বছরের মধ্যে ৯ বছর শাসনভার ছিল বিজেপি জোট সরকারের হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৬
Share:

মোদীর অস্ত্রেই মোদীকে বিঁধলেন দীপা দাশমুন্সি!

Advertisement

ঝাড়খণ্ডে অনুন্নয়নের জন্য ভোট-প্রচারে বার বার কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলছেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এ বার পাল্টা জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপাদেবী।

আজ রাঁচির সুভাষ চকে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড গঠনের পর ১৪ বছরের মধ্যে ৯ বছর শাসনভার ছিল বিজেপি জোট সরকারের হাতে। ওই সময় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাও পুরোপুরি খরচ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।” ইউপিএ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার জন্যই পিছিয়ে পড়েছে ঝাড়খণ্ড। উন্নয়ন না হওয়ায় বেড়েছে মাওবাদী সমস্যাও।” দীপাদেবীর দাবি, তিনি নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে থাকাকালীন আবাসন, বাসস্ট্যান্ড, নিকাশি-সহ বিভিন্ন প্রকল্প গড়তে ঝাড়খণ্ডে টাকা পাঠানো হত। বরাদ্দ ছিল সর্বশিক্ষা অভিযানেও। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বেশিরভাগ টাকাই ফেরত যেত নয়াদিল্লিতে। এ জন্য তিনি রাজ্য প্রশাসনের দুর্নীতিকেই দায়ী করেন। কংগ্রেস নেত্রীর কথায়, “রাজ্য গঠনের সময় ঝাড়খণ্ডে মাত্র দু’টি জেলা মাওবাদী প্রভাবিত ছিল। অনুন্নয়নের জেরে তা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে।”

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ নিয়েও সমালোচনা করেন দীপাদেবী। তিনি বলেন, “দিল্লিতে এ জন্য যে হারে ঝাঁটা কেনা হচ্ছে, তাতে পরে নতুন আর্থিক কেলেঙ্কারি না ধরা পড়ে!”

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ঝাড়খণ্ডে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেও, এ দিন রাঁচিতে প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন হাতেগোণা কয়েক জন দলীয় নেতা, কর্মকর্তা। হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখদেব ভগত। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বুরমূ, খিজরি, সিল্লি, অনগোড়া, ইচাগড়েও প্রচার করেন দীপাদেবী।

লোকসভা ভোটে মোদী-ঝড়ে ঝাড়খণ্ডে নাস্তানাবুদ হয়েছিল কংগ্রেস। সেই রেশ কি এখনও কাটেনি? দলের দফতরের পরিস্থিতি দেখে দলীয় নেতাদের একাংশের মধ্যে সে শঙ্কা ঘুরপাক খাচ্ছে। কংগ্রেস দফতর জনশূন্য থাকলেও, রাঁচিতে এ দিন বিজেপি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সদর দফতর ছিল জমজমাট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন