প্রশাসনের নাকের ডগায় হাইলাকান্দির কাটলিছড়া ব্লকে অবাধে গাছ কেটে পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। চলছে মাটি পাচারও। কিন্তু প্রশাসনের তরফে তা রুখতে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। এ সবের বিরুদ্ধে তা-ই সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ হাইলাকান্দির কাটলিছড়া উন্নয়ন খণ্ড তৈরির সময় ওই এলাকায় হরেক রকমের গাছ লাগানো হয়েছিল। এখন সেগুলি আকার-আয়তনে অনেক বড় হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শাল, সেগুনের মতো গাছও। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের সময় ব্লক প্রাঙ্গনে থাকা গাছগুলি কেটে পাচার করতে শুরু করে এক দল দুষ্কৃতী। ব্লকের সরকারি জমির মাটি ড্রজার দিয়ে খুঁড়ে নেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরে ওই কাজ চলতে থাকলেও ব্লকের বিডিও ও প্রশাসন ‘নীরব দর্শকের’ ভূমিকায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু পাল বলেন, ‘‘ব্লক কর্তৃপক্ষের মদতে এ সব করা হচ্ছে।’’ এ জন্য তিনি বিডিও জেমস আইন্ডকেও দায়ী করেন। আজ কাটলিছড়া ব্লকে গিয়ে দেখা যায়— বিডিও অফিসের লাগোয়া এলাকায় অনেক সেগুন গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাটলিছড়ার আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য সিতেন দেব বলেন, ‘‘বিডিও ওই গাছগুলি নিলাম করেছেন।’’ তবে বিডিও জেমস আইন্ড এ কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও গাছ নিলাম করিনি। এই ব্লকের বিডিও-র দায়িত্ব নেওয়ার আগেই গাছগুলি কাটা হয়।’’ এ ভাবে ব্লকের গাছ কাটা এবং মাটি পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াও আশ্বাস দেন তিনি।
কাটলিছড়া মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাসিরউদ্দিন বড়ভুঁইঞা ব্লকের জমিতে থাকা মূল্যবান গাছ কাটা এবং মাটি পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব।’’ কাটলিছড়া আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সভাপতি গোপী দেব জানান, ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে করতে তিনি বিডিওকে অনুরোধ করেছেন।