এয়ার ইন্ডিয়ার ৮৮০ বিমানটির ভিতরে গলদঘর্ম যাত্রীরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
কেউ বা প্রথম বারের জন্য বিমান সফর করছিলেন। কেউ আবার আকছারই এই আকাশপথে যাতায়াতে অভ্যস্ত। কিন্তু, রবিবারের বিমানযাত্রা তাঁদের কাছে একটা আতঙ্কের স্মৃতি!
রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ১৬৮ জন যাত্রী নিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ৮৮০ বিমানটি। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই যাত্রীরা টের পান, এসি কাজ করছে না। বিমানকর্মীদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়। তাঁরা আশ্বাস দেন, বিমান ছাড়লেই এসি মেশিনগুলি কাজ করতে শুরু করবে। কিন্তু বাগডোগরা থেকে দিল্লি, দীর্ঘ দু’ ঘণ্টার যাত্রাপথে এক বারের জন্যও সেগুলি চালু হয়নি। খবরের কাগজ, বই এবং হাতপাখা দিয়ে প্রচণ্ড গরমে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন যাত্রীরা। গুমোট পরিবেশে কয়েক জন যাত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অক্সিজেন মাস্কও নেমে আসেনি। ভ্যাপসা গরম, উৎকণ্ঠা, আতঙ্কে এক ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিমানের অন্দরে।
আরও পড়ুন: বদলিতে ক্ষোভ নেই, বাহরাইচে আমন্ত্রণ, ফেসবুকে সেই পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা
উপরের অবস্থার একটি ভিডিও তুলে টুইটারে তা পোস্ট করে দেন এক যাত্রী। দিল্লি পৌঁছে, এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, এসি মেশিন বিকল থাকলে পাইলট সেই বিমান ওড়াতে পারেন না। তাঁদের প্রশ্ন, যাত্রীদের জীবন নিয়ে এ ভাবে ঝুঁকি নেওয়া হল কেন?
যদিও এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাগডোগরা থেকে ছাড়ার সময় এসি মেশিন নিয়ে যাত্রীদের তরফে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিমানটি দিল্লিতে পৌঁছনোর পর, কিছু যাত্রী এ নিয়ে অভিযোগ জানান। বিমানের কয়েকটি এসি কাজ করছিল না। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের দাবি, এয়ার ইন্ডিয়ার ৮৮০ বিমানটিতে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি ছিল না। যদি সে রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হত, তবে অক্সিজেন মাস্কগুলি নীচে নেমে আসত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এক মুখপাত্র জানান, যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়েছে, সেখানে শুধু কাগজ-বই দিয়ে হাওয়া করতে দেখা গিয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক নীচে নেমে আসতে দেখা যায়নি।
দেখুন সেই ভিডিও (_)
দেখুন সেই ভিডিও (_)
তবে, যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এসি মেশিনে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। সে জন্য কয়েকটি মেশিন কাজ করছিল না।