কলকাতা থেকে লন্ডনও এখন খুব সস্তায় চলে যাওয়া যায়। সস্তার ফ্লাইটে।
খুব বেশি হলে লাগে ১৯ হাজার টাকার মতো।
আর শুনলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন, দিল্লি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের চণ্ডীগড়ে উড়ে যেতে হলে আমার-আপনার পকেট থেকে এখন খসাতে হবে প্রায় সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা! মানে, প্রায় তিন গুণ! এটা অবশ্য ‘প্রিমিয়ার’ ক্লাসের ভাড়া। কিছুটা সস্তার ‘ইকোনমি’ ক্লাসও ততটা সস্তার নয় এখন দিল্লি থেকে খুব জরুরি প্রয়োজনে চণ্ডীগড়ে উড়ে যেতে হলে। তার জন্য আমাকে-আপনাকে গুনতে হবে ৪৬ হাজার ২৩৫ টাকা। জেট এয়ারওয়েজের বিমানে। যেতেও হবে মুম্বই ঘুরে-টুরে। প্রায় ১২/১৩ ঘণ্টা থাকতে হবে আকাশে।
আরও পড়ুন- জাঠ বিদ্রোহের আগুন নিভছে না, হরিয়ানায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
দিল্লি থেকে ঝট করে চণ্ডীগড়ে উড়ে যাওয়ার বিমান-ভাড়ার এই হুট করে আকাশ ছোঁওয়ার কৃতিত্বটা কার, জানেন?
জাঠ বিক্ষোভকারীদের। সংরক্ষণের ইস্যুতে যাঁরা গত সাত দিন ধরে রোহতক, ঝিন্দ সহ প্রায় গোটা হরিয়ানায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বহু মানুষের ঘর পুড়িয়েছেন। যাঁদের সামলাতে সেনা নামানো হয়েছে। জারি হয়েছে দিন-রাতের কার্ফু। চট করে চলে যাওয়া যায় বলে দিল্লি-চণ্ডীগড়ে সড়কই বেশি পছন্দ করেন মানুষ। বাসে যাতায়াত করা যায়, অনেক সস্তায়। সময়ও লাগে না তেমন। কিন্তু, জাঠ বিক্ষোভকারীরা সেই দিল্লি-চণ্ডীগড়ে সড়কই অবরোধ করে রেখেছেন গত সাত দিন ধরে।
আর তাতেই যাকে বলে মাথায় চড়ে বসেছে বিমানের ভাড়া!