সন্ত্রাসবাদ এবং নাশকতার সব অভিযোগ থেকে মাওবাদী তাত্ত্বিক নেতা কোবাড ঘান্দীকে শুক্রবার মুক্তি দিল দিল্লির আদালত। তবে তাঁকে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বন্দি ছিলেন কোবাড।
কোবাড ঘান্দীর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ২০ এবং ৩৮ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হওয়া এবং সেই সংগঠনের কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করা, মূলত এই সব অভিযোগেই মামলা চলছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের শালবনীতে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয় যাওয়ার রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পিছনেও কোবাডের হাত ছিল বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন। কিন্তু সে সব অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করা যায়নি। দিল্লির একটি আদালত তাই শুক্রবার ইউএপিএ আইনের আওতায় আনা সব অভিযোগ থেকে ওই মাওবাদী তাত্ত্বিককে মুক্তি দিয়েছে। তবে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছে। এই রায়ে কোবাডের জেল খাটার মেয়াদ অবশ্য আর বাড়ছে না। কারণ কোবাডকে তত দিনের জন্যই সাজা দিয়েছে আদালত, যত দিন তিনি ইতিমধ্যেই জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
চামচার দরকার নেই প্রধানমন্ত্রীর! নিহালনিকে কড়া বার্তা বিজেপির
দিল্লি থেকে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মাওবাদী তাত্ত্বিককে। রাজধানীর বুকে মাওবাদী নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।