ছবি: সংগৃহীত।
তিহাড় জেলে বন্দিরা ঠিক মতো চিকিৎসা ও অন্যান্য ন্যূনতম সুবিধা পান কি না, তা জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করকে নিয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের বেঞ্চ ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছে কারা বিভাগের ডিজি-কে।
তিহাড় জেলে বন্দিদের হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সম্প্রতি ক্রিকেট বেটিংয়ে অভিযুক্ত এক ভারতীয়কে প্রত্যর্পণের আর্জি খারিজ করেছে ব্রিটেনের আদালত। ২৫ বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত দম্পতিকেও ফেরাতে অস্বীকার করেছে ব্রিটেনের আদালত। তদন্তে অস্বাভাবিক বিলম্বের জন্য সিবিআইয়ের সমালোচনাও করে ব্রিটেনের অন্য এক আদালত। দু’টি ক্ষেত্রেই তিহাড় জেলে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা’কে মান্যতা দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত। বলেছে, গাদাগাদি করে বন্দিদের রাখা, হিংসার আশঙ্কা ও চিকিৎসা না মেলার কথা। বিদেশে এমন রায় ভারতের কাছে যথেষ্টই অস্বস্তি এবং উদ্বেগের। কারণ সামনে রয়েছে বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরানোর আইনি লড়াই। মাল্যরও দাবি, ভারতে পাঠালে তিহাড় জেলে তাঁর উপরে অত্যাচার হতে পারে।
ক্রিকেট-বুকিকে প্রত্যর্পণের আর্জি খারিজের খবরের সূত্রেই তিহাড়ের কিছু বন্দি চিঠি লেখেন আদালতকে। তাঁদের অভিযোগ, ওই জেলের পরিবেশ চূড়ান্ত অমানবিক। তারই ভিত্তিতে শুরু হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। পরের শুনানি ১৮ ডিসেম্বর। তিহাড়ে গাদাগাদি করে বন্দি রাখার সমস্যা মেটাতেই ২০০৪-এ দিল্লির রোহিণীতে ও ২০০৬-এ মান্ডোলিতে দু’টি জেল তৈরি হয়েছে। তিহাড় তবু উপচে পড়ছে, অভিযোগ বন্দিদের। চিকিৎসা, কাজের সুযোগ, শাস্তির ধরন নিয়েও অজস্র ক্ষোভ তাঁদের।