Manish Sisodia

কিছুটা হলেও স্বস্তি সিসৌদিয়ার, শনিবার অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে দেখা করার অনুমতি

শনিবার তিহাড়ের জেল সুপারের সঙ্গে গিয়ে সিসৌদিয়া সকাল ১০টায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। বিকেল ৫টায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে জেলে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১৭:৪১
Share:

শনিবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সিসৌদিয়া, নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের। ছবি— পিটিআই।

দিল্লি হাই কোর্টে জামিন না পেলেও খানিক স্বস্তি অবশ্যই পেলেন আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মণীশ সিসৌদিয়া। দিল্লির প্রাক্তন উপমু্খ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়াকে আদালত অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে বেশ কিছু শর্তও। হাই কোর্ট জানিয়েছে, শনিবার সিসৌদিয়া সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।

Advertisement

দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা তিহাড়ের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন সিসৌদিয়াকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিসৌদিয়া নিজের বাড়িতে থাকতে পারবেন। তবে হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে সিসৌদিয়া পরিবারের লোক ছাড়া আর কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলা নিষেধ। ব্যবহার করতে পারবেন না মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটও।

হাই কোর্ট সিসৌদিয়ার জামিন এবং অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন শুনছিল। ইডির দায়ের করা আবগারি দুর্নীতির মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে। আদালত সিসৌদিয়ার জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে রায় স্থগিত রেখেছে। সিসৌদিয়া স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, সিসৌদিয়ার স্ত্রী দুরারোগ্য কোনও ব্যাধিতে ভুগছেন।

Advertisement

আদালত ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে, শনিবার বিকেলের মধ্যে সিসৌদিয়ার স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে। শুক্রবার আদালতে সলিসিটর জেনারেল তথা ইডির আইনজীবী এসভি রাজু সওয়াল করেন সিসৌদিয়ার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে। তাঁর দাবি ছিল, এর আগেও সিসৌদিয়া ঠিক এই কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘সিসৌদিয়ার স্ত্রী গত ২৩ বছর ধরে ভুগছেন। আপ নেতার হাতে এক সময় ১৮টি বিভাগের দায়িত্ব ছিল। তিনি বাড়িতে সময় দিতে পারতেন না। পরিচারিকাই তাঁর দেখাশোনা করতেন। তাই আদালত তাঁকে স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। যাতে তিনি স্ত্রীকে দেখে আবার ফিরে আসতে পারেন জেলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন