সহকর্মীর যে কোনও স্পর্শই যৌন হেনস্থার পর্যায়ে পড়ে না। কর্মস্থলে যৌন হেনস্থা নিয়ে এক মামলায় এ কথা জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের মতে, ‘ঝগড়া’র সময় সহকর্মীর হাত ধরলেই তাকে যৌন হেনস্থার তকমা দেওয়া যায় না। কারণ, তা ‘অবাঞ্ছিত যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ’ নয়।
কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর এক মহিলা কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি বিভু ভকরি।
আরও পড়ুন
রাহুলের জন্যই ছেলের স্বপ্ন সফল হয়েছে, জানালেন নির্ভয়ার মা
ভারত বিরোধী জঙ্গিদের নাম মার্কিন তালিকায়, আরও চাপ পাকিস্তানকে
হিন্দুরাও সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছেন, দক্ষিণপন্থীরাই দায়ী: বিস্ফোরক হাসন
সিএসআইআর-এর ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগ ছিল, সংস্থার ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময় কর্মরত এক বিজ্ঞানী সেখানে ঢুকে পড়েন। এর পর আচমকাই তাঁর হাত ধরেন ওই বিজ্ঞানী। এমনকী, তাঁর হাতে ধরা টেস্টিং স্যাম্পলও কেড়ে নেন। এবং তাঁকে ল্যাবরেটরি থেকে বার করে দিয়ে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। মহিলার আরও অভিযোগ, তফসিলি জাতি নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ওই বিজ্ঞানী। তাঁর স্বামী তফসিলি জাতিভুক্ত হওয়ায় ওই বিজ্ঞানী তা উল্লেখ করেন বলে দাবি তফসিলি জাতির ওই মহিলার। গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংস্থার সংশ্লিষ্ট কমিটিতে যৌন হেনস্থার নালিশ করেন তিনি। সেই কমিটির মতে, মহিলার যৌন হেনস্থা করেছেন বিজ্ঞানী।
এর পরে আদালতে মামলা রুজু করেন ওই মহিলা। আদালত জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞানীর আচরণ যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ নয়। ওই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।