ডিইউ: বিতর্কের মধ্যেই জয়ী এবিভিপি

ইভিএম কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে তিনটি পদে জিতল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকের পদ পেয়েছেন এবিভিপি-র প্রার্থীরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়ে থাকা ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-প্রার্থী সম্পাদকের পদে জয়ী হয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫২
Share:

জয়ী এবিভিপি। ছবি: পিটিআই।

ইভিএম কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে তিনটি পদে জিতল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকের পদ পেয়েছেন এবিভিপি-র প্রার্থীরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়ে থাকা ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-প্রার্থী সম্পাদকের পদে জয়ী হয়েছেন।

Advertisement

সিপিআইএমএল(লিবারেশন)-এর ছাত্র সংগঠন আইসা ও আপের সংগঠন ছাত্র যুব সংঘর্ষ সমিতি এ বার জোট গড়ে লড়েছিল। তবে ভোটের লড়াইয়ে দুই শিবিরের সঙ্গে টক্কর দিলেও তারা কোনও পদেই জয়ী হয়নি। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দফায় দফায় স্থগিত করে দিতে হয় গণনার কাজ। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এনএসইউআই ছাড়াও আইসা জোট ভোট বাতিলের দাবি তোলে। তবে গণনা চালিয়ে যেতে চাপ দিতে থাকে এবিভিপি। শেষ পর্যন্ত বেশি রাতে গণনার কাজ শেষ হয়েছে। ফলাফল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের পক্ষে।

তবে ভোট গণনার শুরুর দিকে সভাপতি কিংবা সম্পাদকের পদে এবিভিপি ও এনএসইউআই প্রার্থীদের জোর টক্কর সামনে এসেছে। শুরুর দিকে সভাপতির পদেও এগিয়ে ছিল এনএসইউআই। তবে গণনার মধ্যেই ইভিএম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইসা জোটের সমর্থকেরা। কিছু ক্ষণের জন্য গণনা বন্ধ করে দিতে হয়।

Advertisement

তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে এবিভিপি-এনএসইউআই-এর টক্কর হলেও রাজস্থানের বিভিন্ন প্রান্তের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে নির্দল প্রার্থীরা ওই দুই সংগঠনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। রাজস্থানে বিধানসভার ভোটের ঠিক আগে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতির পদে জিতেছেন নির্দলরা। চারটিতে সভাপতির পদ পেয়েছে এবিভিপি। এনএসইউআই জিতেছে তিনটিতে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতিও হয়েছেন নির্দল প্রার্থী বিনোদ জাখর। এনএসইউআই ও এবিভিপি জোরালো প্রচারের মধ্যেই তিনি ভোটারদের থেকে এক টাকা করে চাঁদা তুলে প্রচার শুরু করেছিলেন। তার পরে ভোটের লড়াইয়ে সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান জাখর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন