দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়: তদন্তের দায়িত্ব ক্রাইম ব্রাঞ্চকে

কালকের ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় অবশেষে নড়েচড়ে বসল দিল্লি পুলিশ। গত কাল এবিভিপি ও আইসা-এসএফআইয়ের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে নীরব দর্শকের ভূমিকা নেওয়ায় আজ তিন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর তদন্তের ভার ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

পড়ুয়াদের মিছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে। ছবি: পিটিআই।

কালকের ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় অবশেষে নড়েচড়ে বসল দিল্লি পুলিশ। গত কাল এবিভিপি ও আইসা-এসএফআইয়ের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে নীরব দর্শকের ভূমিকা নেওয়ায় আজ তিন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর তদন্তের ভার ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

আজও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। আজ একাধিক কলেজের পড়ুয়ারা বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বার করে। ঝামেলার সূত্রপাত যেখানে হয়েছিল সেই রামজস কলেজ আজ খোলা থাকলেও কোনও ক্লাস হয়নি। এরই মধ্যে আজ বিকেলে হামলার প্রতিবাদ জানাতে আইটিও মোড়ে দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় আইসা-এসএফআইয়ের সদস্যরা।

ঘটনার সূত্রপাত গত পরশু। দিল্লির রামজস কলেজে ‘প্রতিবাদের সংস্কৃতি’ নামে একটি আলোচনাসভায় ডাকা হয়েছিল উমর খালিদকে। জেএনইউয়ের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ঠিক এক বছর আগে সংসদ হামলার চক্রী আফজল গুরুর সমর্থনে জেএনইউ-তে সভা করার অভিযোগ উঠেছিল। পরে উমরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে দিল্লি পুলিশ। উমর খালিদকে ডাকার প্রতিবাদে পরশু থেকে রামজস কলেজে গণ্ডগোল শুরু করেছিল এবিভিপি সদস্যরা। বাধ্য হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উমর খালিদের অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন। তাতেও ঝামেলা থামেনি। গোটা অনুষ্ঠানটিই বাতিলের লক্ষ্যে সরব হয় এবিভিপি। যা নিয়ে সরব হয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা ও এসএফআই।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মোদী, অভিযোগ তুললেন রাহুল

ওই হামলার প্রতিবাদে আজ দিল্লি পুলিশের সদর দফতরে ধর্নায় বসে এবিভিপি বিরোধী একাধিক ছাত্র সংগঠন। কেন পুলিশ গতকাল দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল তার জবাব দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার এস বি কে সিংহকে। অভিযোগ ওঠে, এবিভিপি-র সদস্যরা যখন লাঠি ও হকি স্টিক নিয়ে বিরোধী মিছিলে হামলা চালায়, নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পরে বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা ওই হামলার প্রতিবাদে মরিস নগর থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে উল্টে তাদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় রাতেই ঘটনার তদন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় দিল্লি পুলিশ।

এই গণ্ডগোল প্রসঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আজ বলেন, ‘‘যাদের মত পছন্দ নয়, তাদেরই ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দিয়ে হামলা করা সঙ্ঘ পরিবারের রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন