Amit Shah

গাছ পড়লে মাটি কাঁপে তো বলিনি! শিখ বিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে তোপ অমিতের

দিল্লির হিংসা নিয়ে মুখ না খোলায় এ যাবৎ একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন অমিত শাহ। সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়েও এ দিন নাম না করে রাজীব গাঁধীকে কটাক্ষ করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ২১:৩১
Share:

সংসদে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।

দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে জবাবদিহি করতে গিয়ে কংগ্রেসকেই তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১৯৮৪-র শিখবিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যা ট্র্যাক রেকর্ড, তাতে দিল্লির হিংসা নিয়ে তাদের প্রশ্ন তোলাই সাজে না।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তেতে উঠেছিল দিল্লির পরিস্থিতি। ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, চার দিনব্যাপী সংঘর্ষে ৫২ জন প্রাণ হারান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে পরিস্থিতি কীভাবে এতটা হিংসাত্মক আকার ধারণ করল, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। হোলির পরেই এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এর আগে সংসদে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো বুধবার সংসদের অধিবেশন শুরু হলে, বিরোধীরা একের পর এক প্রশ্ন ছুড়তে শুরু করেন। তার জবাবেই কংগ্রেসকে একহাত নেন অমিত শাহ।

এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের যা ট্র্যাক রেকর্ড তাতে দিল্লির হিংসা নিয়ে তাদের প্রশ্ন করাই চলে না।’’ দিল্লির হিংসা নিয়ে মুখ না খোলায় এ যাবৎ একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন অমিত শাহ। সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়েও এ দিন নাম না করে রাজীব গাঁধীকে কটাক্ষ করেন তিনি। ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পর শিখ দাঙ্গা নিয়ে রাজীব গাঁধীর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে অমিত বলেন, ‘‘অনেকে বলছেন দিল্লিতে হিংসা চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একবারও শান্তির আবেদন জানাননি। আমি শান্তির আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু যদি না-ও জানিয়ে থাকি, তাহলেও অন্তত এ রকম বলিনি যে, বড় গাছ পড়লে মাটি কাঁপে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের প্রশংসা অমিতের, কক্ষত্যাগ কংগ্রেসের​

আরও পড়ুন: দলে যোগ দিতেই জ্যোতিরাদিত্যকে রাজ্যসভার টিকিট দিল বিজেপি​

দিল্লির হিংসায় ধর্মের রং রাগানো উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন শাহ। তাঁর কথায়: ‘‘দাঙ্গায় ধর্মের রং খোঁজা উচিত নয়। আমি সকলকে বলতে চাই, দাঙ্গায় ৫২ জন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫২৬ জন। ১৪২টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও ধর্মীয় স্থানেই ভাঙচুর চালানো উচিত নয়। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। এটা অন্যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন