Delhi Rape Case

নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে বাধা, হাসপাতালের মেঝেয় রাত কাটালেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে কিশোরী ‘মামা’ বলে ডাকত। বাবা মারা যাওয়ার পর ওই ‘মামা’র বাড়িতেই থাকত সে। ২০২০-’২১ সালের মধ্যে কিশোরীকে বহু বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই ‘মামা’র বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১১:১২
Share:

দিল্লির হাসপাতালে মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। ছবি: পিটিআই।

হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না পুলিশ। দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তার মায়ের সঙ্গেও। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ তুললেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। শুধু তাই-ই নয়, নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করবেন বলে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রাত কাটালেন তিনি। তেমনই একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখান দেখা যাচ্ছে, মহিলা কমিশনের প্রধান মেঝেতে খোলা জায়গায় ঘুমোচ্ছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনাইকে মালিওয়াল বলেন, “দিল্লি পুলিশ গুন্ডাগিরিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও তো নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বুঝতে পারছি না, দিল্লি পুলিশ আমার কাছ থেকে কী লুকোতে চাইছে!” এর পরই মালিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে যদি দেখা করতে দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে?

সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালে ঠায় অপেক্ষা করছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা না করে হাসপাতাল থেকে এক পা-ও নড়বেন না। স্বাতীর কথায়, “নির্যতিতাকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে কি না আমি জানতে চাই। ওর চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে হবে।”

Advertisement

এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে দিল্লি সরকারের এক শীর্ষস্তরের আধিকারিক। সেই ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় বাজধানী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রেমোদয় খাখা। তিনি দিল্লি সরকারের মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন দফতরের সহ-অধিকর্তা। প্রেমোদয় এবং তাঁর স্ত্রীকে উত্তর দিল্লির একটি এলাকার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তোলাপাড় শুরু হতেই পালানোর চেষ্টা করছিলেন এই দম্পতি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নির্দেশে ওই সরকারি আধিকারিককে তাঁর পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে কিশোরী ‘মামা’ বলে ডাকত। ২০২০ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ওই ‘মামা’র বাড়িতেই থাকত সে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে কিশোরীকে বহু বার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই ‘মামা’র বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, কিশোরী যাতে অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে পড়ে, সে জন্য প্রেমোদয়ের স্ত্রী সীমারানি তাকে গর্ভপাতের ওষুধও খাওয়াত। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সরকারি কর্তাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন