Mob Lynching

দর্শকদেরও কড়া শাস্তির সওয়াল

পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধিতে গণপিটুনিতে হত্যার শাস্তি নিয়ে স্পষ্ট ধারা নেই। তাই নতুন দণ্ডসংহিতায় গণপিটুনিতে হত্যার প্রশ্নে আলাদা করে ধারা যোগ করার সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় নীরব দর্শক হয়ে যারা মজা দেখে, মারধর না করলেও যারা এ ধরনের হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও হত্যাকারীদের সমান ধাঁচের তথা চূড়ান্ত শাস্তির পক্ষে সওয়াল করলেন সাংসদেরা। আজ দণ্ডসংহিতা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দলমত নির্বিশেষে ওই মনোভাব জানান তাঁরা।

Advertisement

পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধিতে গণপিটুনিতে হত্যার শাস্তি নিয়ে স্পষ্ট ধারা নেই। তাই নতুন দণ্ডসংহিতায় গণপিটুনিতে হত্যার প্রশ্নে আলাদা করে ধারা যোগ করার সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাঁচ বা পাঁচের বেশি ব্যক্তি বর্ণ, জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মের স্থান, ভাষা, ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অন্য কোনও কারণে গণহত্যার ঘটনা ঘটালে, সেই ঘটনায় জড়িতদের ন্যূনতম সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন জেল এমনকি ফাঁসির সাজা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে নতুন বিলে।

গত তিন দিনের বৈঠকে একাধিক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, আইনজীবীরা বিলটি নিয়ে মতামত দিয়েছেন। আজ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন অজমেঢ়ের আদালতের আইনজীবী জগদীশ রানা। তিনি জানান, মাত্র এক দিন সময় পেয়েছেন তিনি। সূত্রের মতে, দণ্ডসংহিতার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে বলার প্রস্তুতিতে কেন এত কম সময় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সরকারের বেছে নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি আজ কমিটি সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ওই বিল নিয়ে ১৬ জন বিশেষজ্ঞের বক্তব্য শোনার আবেদন কমিটির কাছে জানান বলে সূত্রের খবর। তালিকায় রয়েছেন ফালি এস নরিম্যান, দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন লকুর।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন