হাত ছেড়ে পাঞ্জা, ইন্দিরা বুঝলেন

কিছু একটা গন্ডগোল হচ্ছে বুঝে ইন্দিরা ফোনটা দিলেন পি ভি নরসিংহ রাওকে। পিভি-র সঙ্গেই তখন তিনি বিজয়ওয়াড়ায়। ১৯৭৮ সালের কথা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১২
Share:

‘‘হাতি না হাত’’, বারবার জিজ্ঞেস করছেন বুটা সিংহ। ইন্দিরা গাঁধী ফোনে ওঁর পঞ্জাবি উচ্চারণ বুঝতে না পেরে দু’টোই ‘হাতি’ শুনছেন আর বাতিল করছেন! তার পর কিছু একটা গন্ডগোল হচ্ছে বুঝে ইন্দিরা ফোনটা দিলেন পি ভি নরসিংহ রাওকে। পিভি-র সঙ্গেই তখন তিনি বিজয়ওয়াড়ায়। ১৯৭৮ সালের কথা।

Advertisement

পিভি ফোনটা নিয়েই বুঝে গেলেন ব্যাপারটা আর চেঁচিয়ে বুটাকে বললেন, ‘‘পাঞ্জা বলুন পাঞ্জা!’’ ইন্দিরা এত ক্ষণে নিশ্চিন্ত হয়ে পাঞ্জায় মত দিলেন, কংগ্রেস (আই)-এর নতুন নির্বাচনী প্রতীক ঠিক হল।

রশিদ কিদওয়াইয়ের নতুন বই ‘ব্যালট— টেন এপিসোডস দ্যাট হ্যাভ শেপড্ ইন্ডিয়াজ ডেমোক্র্যাসি’ শুনিয়েছে এই গল্প। ১৯৭৮ সালে কংগ্রেস ভাঙনের পরে ইন্দিরার নতুন প্রতীক বেছে নেওয়ার নেপথ্য কাহিনি। গাই-বাছুরের প্রতীক ছেড়ে বেরোতে পেরে খুশিই ছিলেন ইন্দিরা, লিখছেন রশিদ। তাঁর দাবি, ইন্দিরার প্রথম পছন্দ ছিল আদি কংগ্রেসের প্রতীক জোড়া বলদ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটা তত দিনে হিমঘরে পাঠিয়েছে। তারা ইন্দিরাকে বেছে নিতে বলল, হাতি, সাইকেল অথবা পাঞ্জা। ইন্দিরা ভেবে দেখলেন, হাতি ভারতের সব অংশে সমান শুভ বলে দেখা হয় না। আর সাইকেলটা বড্ড সাদামাঠা মনে হল ওঁর। অতএব পাঞ্জাই ঠিক হল! এই মুহূর্তে অবশ্য হাতি আর সাইকেলকেও কাছে টানার কথা ভাবতে হচ্ছে পাঞ্জাকে!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন