Fire in New Delhi

মানসিক অবসাদ! ঘরে আগুন জ্বালিয়ে মাকেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন ব্যবসায়ী

দমকল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়ে মানসরোবর গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ছুটে যান দমকল কর্মীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০২
Share:

অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলেই অচেতন হয়ে পড়েন দিল্লির ব্যবসায়ী। প্রতীকী ছবি।

মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লির এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার পশ্চিম দিল্লির মানসরোবর গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম মহেন্দর কউর (৭৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে মহেন্দরকে প্রাণে মেরে ফেলেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তের নাম সুরিন্দর পাল। পুলিশ সূত্রে খবর, লন্ডনে ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন সুরিন্দর।

Advertisement

কয়েক বছর আগে লন্ডন থেকে ফিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে মানসরোবর গার্ডেনের ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছিলেন তিনি। দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর বাবা দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি এবং তাঁর মাও বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। মানসিক চাপ আর সহ্য করতে পারছিলেন না সুরিন্দর। তাই মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এমনকি, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেন তিনি।

দমকল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়ে মানসরোবর গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ছুটে যান দমকল কর্মীরা। আগুন নেভানোর জন্য দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা এবং জানলা বন্ধ থাকার কারণে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতর প্রবেশ করেন দমকল কর্মীরা। মহেন্দরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। দমকল কর্মীরা জানান যে, বাড়িতে ২টি গ্যাস স্টোভ জ্বালানো ছিল। তার পাশে কিছু কাগজপত্র পোড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

এমনকি, ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে সুরিন্দরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সুরিন্দরকে। চিকিৎসকেরা জানান যে, অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। দমকল কর্মীদের অনুমান, ঘরে আগুন লাগানোর পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার জন্য ফ্ল্যাটের ছাদে গিয়েছিলেন সুরিন্দর। ছাদে পৌঁছতেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করায় সব স্বীকার করেন তিনি। শনিবার খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন