টুইটারে লালুপ্রসাদের বার্তা নিয়ে উত্তাপ ছ়ড়াল বিহারের রাজনীতিতে।
মঙ্গলবার তাঁর পটনার বাড়িতে আয়কর অভিযানের কয়েক মুহূর্ত পরেই লালু টুইট করেন— ‘বিজেপির নতুন জোটসঙ্গীদের অভিনন্দন।’ তাতেই মহাজোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনায় ভাসে গোটা বিহার। রাজনৈতিক শিবিরে কানাঘুষো ছড়ায়, পরোক্ষে নীতীশ কুমারকেই ওই বার্তা দিয়েছেন লালু।
দুপুরের পর অবশ্য ফের টুইটারে ফেরেন আরজেডি শীর্ষনেতা। তিনি জানান, মহাজোট অটুট রয়েছে। দলের মুখপাত্র মনোজ ঝা ব্যাখ্যার সুরে বলেন, ‘‘বিজেপির নতুন জোটসঙ্গী বলতে সিবিআই এবং আয়কর দফতরকেই বোঝানো হয়েছে।’’ জল্পনা কিন্তু তাতে কমেনি।
বেনামী সম্পত্তির খোঁজে এ দিন পটনার পাশাপাশি নয়াদিল্লি, গুরুগ্রামে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ২২টি ঠিকানায় হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। আরজেডি সাংসদ প্রেমচন্দ্র গুপ্তার ডিফেন্স কলোনির বাংলোতেও তল্লাশি চলে।
লালুর বাড়িতে আয়কর অভিযান নিয়ে সতর্ক মন্তব্য করে জেডিইউ। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আইন নিজের কাজ করবে।’’ প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন বর্মা বলেন, ‘‘আমরা আরজেডির সঙ্গে জোট গড়েছি। লালুপ্রসাদের সঙ্গে নয়।’’ কংগ্রেস অবশ্য লালুর পাশে দাঁড়ায়। রাজ্যের মন্ত্রী অবধেশ সিংহ বলেন, ‘‘এই অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’
মঙ্গলবার সকালে বিহার পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে লালুপ্রসাদের পটনার বাসভবনে যান আয়কর আধিকারিকরা। বাড়িতেই ছিলেন লালু, তাঁর স্ত্রী রাবড়ীদেবী, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ। আয়কর কর্তারা ৪ ঘণ্টা পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। অভিযানে কী মিলেছে, তা নিয়ে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।
মাসখানেক ধরে লালু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছিল বিজেপি। এ দিন আয়কর দফতরের কর্তারা হানা দেওয়ার পর বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদের যাদবের বেনামী সম্পত্তি নিয়ে মৌখিক ভাবে নালিশ জানিয়েছিলাম। নীতীশ কুমার বলেছিলেন, অভিযোগের সত্যতা থাকলে তদন্ত করে দেখা হোক। কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিযান চালিয়েছে। তিনি এখন যেন না বলেন, বদলা নিতেই এ সব করা হয়েছে।’’