—ফাইল চিত্র।
সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির ইঙ্গিত দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে আরও চাপের মুখে ফেলল হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
হরিয়ানায় মনোহরলাল খাট্টারের সরকার আসার পর পূর্বসূরী ভূপিন্দর সিংহ হুডার আমলে জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। যে কমিশনের লক্ষ্য ছিল রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগও তদন্ত করা। সেই কমিশনের প্রধান বিচারপতি এসএন ধিংরা আজ রিপোর্ট পেশ করে বলেন, ‘‘যদি কোনও অনিয়ম নাই থাকত, তাহলে এক বাক্যে রিপোর্ট শেষ হয়ে যেত। তাঁকে ১৮২ পাতা লিখতে হত না। রিপোর্টে সমস্ত অনিয়মের কথাও লেখা আছে। কোন বেসরকারি ব্যক্তিরা এর সুবিধা পেয়েছেন, তার কথাও উল্লেখ আছে।’’
সরাসরি রবার্টের কথা উল্লেখ না করলেও আজ রে-রে করে ওঠে কংগ্রেস। খোদ হুডা বলেন, রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা না হলেও যে ভাবে তা ফাঁস করা হচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতিকে দিয়ে ফের তদন্ত করা উচিত। দিল্লিতে দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘এই কমিশন গঠনের লক্ষ্যই ষড়যন্ত্র, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রয়াস।’’ রবার্ট বঢরার আইনজীবীও প্রকাশ্যে এসে বলেছেন, তাঁর মক্কেল কোনও দুর্নীতি করেননি। ধিংরা কমিশনের সঙ্গেও সব রকম সহযোগিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিমানসেবিকার শ্লীলতাহানির পর চম্পট ট্যাক্সিচালকের
কংগ্রেসের এই প্রতিক্রিয়া দেখে দিল্লি থেকে তাদের আরও বিঁধতে সুবিধাই হয়েছে বিজেপির। দলের নেতা শ্রীকান্ত শর্মার বক্তব্য, রিপোর্ট নিয়ে হরিয়ানা সরকার যা উপযুক্ত পদক্ষেপ করার করবে। কিন্তু কংগ্রেস যে ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, তাতে স্পষ্ট তাঁরা ‘চুরি’ করেছে। তাই ভয় পাচ্ছে। কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার আগেই তাই আবোল-তাবোল বলছে।