পরিবেশ বাঁচাতে ট্রেনে বন্ধ ডিজেল জেনারেটর

আর তিন লক্ষ্য হলো: প্রথমত, ট্রেনকে অনেক বেশি পরিবেশ-বান্ধব করে তোলা। দ্বিতীয়ত, ডিজেল তুলে দিয়ে বছরে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা খরচ বাঁচানো। তৃতীয়ত, ট্রেনগুলিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর কার বন্ধ করে দিয়ে অতিরিক্ত দু’টি কামরা লাগিয়ে যাত্রী-সংখ্যা বাড়ানো।

Advertisement

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ১৬:০০
Share:

এক তিরেই এ বার তিন-তিনটি লক্ষ্য ভেদ করতে চাইছে রেল।

Advertisement

তির বলতে ট্রেনে ডিজেল ব্যবহারের পাট চুকিয়ে দেওয়া।

আর তিন লক্ষ্য হলো: প্রথমত, ট্রেনকে অনেক বেশি পরিবেশ-বান্ধব করে তোলা। দ্বিতীয়ত, ডিজেল তুলে দিয়ে বছরে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা খরচ বাঁচানো। তৃতীয়ত, ট্রেনগুলিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর কার বন্ধ করে দিয়ে অতিরিক্ত দু’টি কামরা লাগিয়ে যাত্রী-সংখ্যা বাড়ানো।

Advertisement

আপাতত রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দী এক্সপ্রেস-সহ কিছু ট্রেনকে অধিকতর পরিবেশ-বান্ধব করে তুলতে ডিজেলচালিত জেনারেটর কার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দী এক্সপ্রেস-সহ অনেক ট্রেনেই দু’টি করে জেনারেটর কার লাগানো থাকে। সেই জেনারেটর চালিয়ে কামরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখা হয়। ডিজেল পুড়িয়ে ট্রেনে জেনারেটর চালানোর দিন এ বার শেষ হতে চলেছে। বৈদ্যুতিক শাখায় ইঞ্জিন থেকেই কামরার বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রযুক্তি (হেড অন জেনারেশন) তৈরি করে ফেলেছে রেল।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেনে ডিজেলচালিত জেনারেটর কামরা তুলে দিয়ে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেনের কামরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই শিয়ালদহ রাজধানীর দু’টি, পটনা রাজধানীর দু’টি, রাঁচী রাজধানীর দু’টি, চেন্নাই-কোয়ম্বত্তূর শতাব্দীর দু’টি এবং চেন্নাই-নিজামুদ্দিন দুরন্তের তিনটি রেকে ওই প্রযুক্তি লাগিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রযুক্তি বদলের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।

২০১১ সালে ট্রেনে জেনারেটর কার লাগানো শুরু হয়। প্রথম জেনারেটর কার লাগানো হয়েছিল নয়াদিল্লি-কালকা শতাব্দী এক্সপ্রেসে। রেলকর্তারা জানান, নতুন প্রযুক্তিতে ইঞ্জিনই ওভারহেড তার থেকে প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে বিদ্যুৎ টেনে কামরায় পাঠিয়ে দেবে। আলাদা করে জেনারেটর চালানোর প্রয়োজন হবে না। এই প্রযুক্তিতে রেল আপাতত বছরে প্রায় ৮৯ লক্ষ ২৭ হাজার লিটার ডিজেল বাঁচাতে পারবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন