Digital Media

ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

সর্বোচ্চ আদালত মন্তব্য করে, টিআরপি বাড়ানোর জন্য যা-খুশি-তাই সংবাদ হিসেবে প্রচার করা যায় না।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৮
Share:

সুপ্রিম কোর্ট।—ফাইল চিত্র

টেলিভিশন চ্যানেল নয়, তাদের মাথাব্যথার কারণ যে অনলাইন সংবাদ পোর্টাল বা ইউটিউব চ্যানেলের মতো ডিজিটাল মাধ্যমগুলি, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সে কথা জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই হলফনামায় বলা হয়েছে, দেশে টেলিভিশন সংবাদের মানের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনলাইন মাধ্যমগুলি ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে এই মাধ্যমের খবর গণহারে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক সুস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে।

Advertisement

একটি সংবাদ চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানায়, বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মাফিক বিদ্বেষ ছড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানটিতে। সর্বোচ্চ আদালত মন্তব্য করে, টিআরপি বাড়ানোর জন্য যা-খুশি-তাই সংবাদ হিসেবে প্রচার করা যায় না। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নামে দায়-দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা বরদাস্ত করা হবে না। টেলিভিশনের সংবাদে কেন লাগাম পরানোর কথা ভাবা হবে না, সে বিষয়ে সরকারকে বিবেচনা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে আলোচনার নামে কার্যত বিচারসভা বসানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত প্রেস কাউন্সিলকেও বলেছিল, টেলিভিশন সংবাদের মান নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা করা যায় তা দেখতে। জবাবে প্রেস কাউন্সিল জানিয়েছিল, টেলিভিশন সংবাদের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সেই কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “সত্যি! এত কিছু কার্যকর থাকার পরেও টেলিভিশনে আমাদের এই সব দেখতে হয়!”

এ দিনও কেন্দ্র তাদের বিবৃতিতে আদালতকে জানিয়েছে, মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিকতার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনিক এবং আইনি ব্যবস্থা সরকারের রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমকে কী ভাবে দায়িত্বশীল করা যায়, আদালতের উচিত সে বিষয়টি অগ্রাধিকারদিয়ে বিবেচনা করা। কারণ, প্রথাগত সংবাদ মাধ্যম (মুদ্রণ এবং বৈদ্যুতিন)-এর নির্দিষ্ট একটি পাঠক বা দর্শক থাকলেও সোশ্যাল সাইটের কল্যাণে ডিজিটাল মাধ্যমের সংবাদ ভাইরাল হয়। যে টেলিভিশন চ্যানেলটির অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক, তারাও সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করেছে— সত্য প্রকাশই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি বিষোদ্গার তাদের অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন