ডিমাসা রাজবাড়িতে রাসমতি দেবী। মাইবাঙে। — বিপ্লব দেব
সংস্কারের পর ডিমাসা রাজবাড়িতে একটি সংগ্রহশালা ও শিশুদের খেলার পার্কের উদ্বোধন করা হল। স্বাধীনতা দিবসে মাইবাং শহরে ডিমাসা রাজার রাজবাড়িতে, ওই মিউজিয়াম ও চিলড্রেন পার্কের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণা নাগরিক, ১০২ বছরের বৃদ্ধা রাশমতি হোজাই। রাজবাড়ির ওই মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে প্রাচীন কালের ডিমাসা রাজাদের ব্যবহার করা বিভিন্ন সামগ্রী ও ডিমাসা জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত পোশাক, বাদ্য যন্ত্র ইত্যাদি।
ডিমাসা রাজাদের রাজধানী মাইবাঙে এই রাজবাড়ি সংরক্ষণে এগিয়ে আসে ৩৮ নম্বর আসাম রাইফেল ও স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মাইবাং রাজবাড়ি দীর্ঘদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই ‘সোচ’ নামে এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। পার্বত্য পরিষদও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এগিয়ে আসে হালালি প্রোগ্রেসিভ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, ডিমাসা ছাত্র সংস্থা, সারা ডিমাসা ছাত্র সংস্থা প্রভৃতি সংগঠন। সকলের সার্বিক উদ্যোগেই ডিমাসা রাজবাড়িকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হল।
উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ও জেলা পর্যটন দপ্তর ‘ক্লিন এন্ড গ্রিন’ নামে এক অভিযান শুরু করেছে পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। রাজ্য সরকারও পাহাড়ি পর্যটনের বিকাশে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান দেবলাল গারলোসা।