রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউ ইয়র্কে যাওয়াটা নিছকই একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান। এ বার সেই রুটিন অনুষ্ঠান থেকে সরে এসে আসন্ন আমেরিকা সফরে এক কূটনৈতিক মাত্রা যোগ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানকার ভারতীয় সমাজকে সঙ্গে নিয়ে একে কূটনৈতিক-যাত্রায় পরিণত করতে চান তিনি।
নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে মার্কিন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বহুজাতিক সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করবেন তিনি। বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করারও জোরদার চেষ্টা হবে। এরই সঙ্গে আমেরিকার ভারতীয় সম্প্রদায়কে কাছে টানার একটি প্রয়াসও এই সফর থেকেই শুরুকরে দিতে চান মোদী। এ জন্য ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে প্রকাশ্য সভা করবেন তিনি। সেখানকার কুড়ি হাজার আসন যে উপচে পড়বে, তার ইঙ্গিত এখনই মিলেছে। গ্রাউন্ড জিরোতে যাওয়া, মার্টিন লুথার কিঙ্গ, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়ালে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি পৃথক ভাবে কথা বলবেন সেখানকার ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। দেখা করবেন শিখ ও ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গেও।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, বিদেশনীতিতে তুখোর ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি কখনও আমেরিকায় গিয়ে এ ভাবে ভারতীয় বিদেশনীতিকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেননি।
এই কূটনৈতিক অভিযান মোদীর কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে। কেননা, এই দেশই এত দিন তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব সময় এগিয়ে চলতে চান।” সম্প্রতি জাপানে গিয়েও মোদী সে দেশের সংস্কৃতিকে ছুঁতে চেয়েছেন। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনে অভূতপূর্ব অনুষ্ঠান করেছেন সাবরমতির ধারে।