সংসদে নরেন্দ্র মোদী। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির থেকে যত বাধাই আসুক, বিজেপি সাংসদদের লক্ষ্যে অটল থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী আজ তাঁর বাসভবনে কয়েকটি রাজ্যের দলীয় সাংসদদের প্রাতরাশ বৈঠকে ডেকেছিলেন। ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। পশ্চিমবঙ্গের তিন সাংসদ— লোকসভার সুরেন্দ্রসিংহ অহলুওয়ালিয়া ও বাবুল সুপ্রিয় এবং মনোনীত রাজ্যসভ সদস্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী ভাবে নিরন্তর অসহযোগিতা করছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান রাজ্যের সাংসদরা। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক বাধা থাকবেই। কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনীতিতে যে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন এসেছে, সেই প্রেক্ষাপটে আরও বেশি করে মানুষের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের লক্ষ্যে এগোতে হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, বাবুল ওই বৈঠকে নালিশ জানান, বিজেপির সাংসদরা পশ্চিমবঙ্গে যেখানে যান, সেখানে রাজ্যের অফিসার দেওয়া হয় না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘ডিজি-ধন’ কর্মসূচি আয়োজন করতে গিয়েও পদে পদে বাধা পেতে হয়েছে। রূপা নালিশ করেন, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভোরের মঙ্গলারতি সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে ভোরের আরতি দেখতে গিয়ে হতাশ হন রূপা। বিজেপি শিবিরের খবর, রূপা সেখানেই বলে এসেছিলেন, দর্শন যাঁরা বন্ধ করেছেন, তাঁদের পতন অনিবার্য। আজ রূপা সেই নালিশই করেন মোদী-শাহের সামনে। অন্য রাজ্যের সাংসদরাও তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান।
আরও পড়ুন: অর্থ বিলে ধাক্কা খেলেন মোদী
সব শুনে মোদী বলেন, দেশের বর্তমান রাজনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন গরিব ও বঞ্চিতদের সঙ্গে ‘আত্মীয়তা’ গড়ে তুলে কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল তাঁদের কাছে মেলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে আরও সক্রিয় হতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাংসদরা যেন কোনও ভাবেই নিজ-নিজ কেন্দ্রের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না
থাকেন। ভোটারদের যেন মনে না হয়, বিজেপি সাংসদদের নাগাল পাওয়া যায় না। নিজেদের কেন্দ্রে তাই নিয়মিত সভা করতে হবে। এই সূত্রে মোদী নিজেই বাবুলের কেন্দ্রে ‘সাংসদ মেলা’র প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বাকিদেরও এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। আসানসোলে ওই ‘সাংসদ মেলা’ করতে গিয়েও তৃণমূলের সঙ্গে বিবাদ বাধে বাবুলের। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
অমিত শাহও বলেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে স্পষ্ট, মোদীর গরিব-কেন্দ্রিক রাজনীতি বাকিদের পরাজিত করেছে। মোদীর নেতৃত্বে গরিব, কৃষক, যুবক, মহিলাদের জন্য প্রকল্পগুলিকে ব্লক স্তর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।