এখনও জল, খনিতে নামতে ব্যর্থ ডুবুরিরা

১৩ জানুয়ারি পাহাড়ি নদী লাগোয়া দেওয়াল ভেঙে ফেলায় কসানের কয়লা খনিতে জল ঢুকে যায়। আটকে পড়েন ১৫ জন শ্রমিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৪
Share:

উদ্ধারকাজ: খনি-মুখে বসানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। শুক্রবার মেঘালয়ের কসানে। —নিজস্ব চিত্র।

তিন দিন ধরে জল বার করেও কোনও লাভ হল না। মেঘালয়ের কসান কয়লা খনিতে রোজ বিকেল পর্যন্ত পাম্প করে জলতল যেটুকু নামানো হচ্ছে, পরের দিন সকালে জল বেড়ে ফের সেখানেই পৌঁছচ্ছে। অর্থাৎ নদীর জল এখনও খনিতে ঢুকছে। ১৩ জানুয়ারি পাহাড়ি নদী লাগোয়া দেওয়াল ভেঙে ফেলায় কসানের কয়লা খনিতে জল ঢুকে যায়। আটকে পড়েন ১৫ জন শ্রমিক।

Advertisement

জল বার করার জন্য এখনও পর্যন্ত ওড়িশার দমকল বাহিনীর পাম্পগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। কোল ইন্ডিয়া ও কির্লোস্কারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহারের জন্য আজ পুরনো গহ্বরের মুখে লোহার পাটাতন বসানো হয়েছে। আজ সন্ধ্যা বা কাল সকাল থেকে ওই পাম্পগুলি ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এনডিআরএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘নদীর জল সমানে ভিতরে ঢুকে আসছে। কয়েকটি শক্তিশালী পাম্প একসঙ্গে কাজ শুরু করলে জল কমার আশা রয়েছে। তার পরেই ডুবুরিরা নামতে পারবেন।’’

পাশাপাশি, উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আজকের শুনানিতে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেটা, বিচারপতি এ কে সিকরি ও বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, খনিটি বেআইনি। ভিতরের নকশা মেলেনি। ভিতরে কোথায় কী ভাবে সুড়ঙ্গ গিয়েছে সে সম্পর্কে উদ্ধারকারীদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন