Bihar

Bihar: জল নিয়ে অভিযোগ, গ্রামে সটান হাজির জেলাশাসক, উঠে গেলেন ৩০ ফুট উঁচু ট্যাঙ্কে!

ঘটনাটি বিহারের রোহতাসের। জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার অভিযোগ পেয়েছিলেন যে, গ্রামে যে জলের ট্যাঙ্ক বানানো হয়েছে তা খুব নিম্নমানের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ ১৮:৪৩
Share:

জলট্যাঙ্কের সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার। ছবি সৌজন্য টুইটার।

জল পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামে জলের পরিস্থিতি খুব খারাপ। এমনই বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল জেলাশাসকের দফতরে। এ বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগও জমা পড়ে। সকলকে চমকে দিয়ে জেলাশাসক সটান হাজির হলেন ওই গ্রামে। জলের যে ট্যাঙ্ক এবং জল সরবরাহ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছিল তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই উঠে পড়লেন ৩০ ফুট উঁচু ট্যাঙ্কে।

Advertisement

ঘটনাটি বিহারের রোহতাসের হরিবংশপুর পঞ্চায়েতের। জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার অভিযোগ পেয়েছিলেন যে, গ্রামে যে জলের ট্যাঙ্ক বানানো হয়েছে তা খুব নিম্নমানের। জল পরিষেবাও ভাল নয়। স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই জেলাশাসক খোদ ওই রোহতাসে পৌঁছন। ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে জলট্যাঙ্কের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠেন ট্যাঙ্কের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য। তাঁকে উঠতে দেখে হতচকিত হয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং উপস্থিত আধিকারিকরা। তাঁরাও জেলাশাসকের দেখাদেখি ট্যাঙ্কে উঠতে শুরু করেন।

জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন, কল-জল প্রকল্পের আওতায় যে ট্যাঙ্ক বানানো হয়েছে, তাতে বড় রকমের দুর্নীতি রয়েছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বিডিও-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিকের কাছে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। এক জন জেলাশাসকের এমন ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

কয়েক দিন আগে অসমে এক জেলাশাসক তাঁর কাজের জন্য সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন। তিনি কীর্তি জাল্লি। বন্যার জলে যখন অসমের কাছাড় ভাসছিল। হাজার হাজার মানুষ যখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন, চুপ করে বসে থাকতে পারেননি কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনার কীর্তি। বন্যাকবলিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। জল-কাদা পেরিয়ে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর সেই কাজকে সকলে কুর্নিশ জানিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement