কয়েকটা কমলালেবু, আপেল আর একরাশ শুভকামনা। বছরের প্রথম দিন রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদকে এটুকুই পৌঁছে দিতে পারলেন তাঁর অনুগামীরা।
পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির আরও এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলবন্দি লালু। কাল বাদে পরশু সাজা ঘোষণা। তার আগে আজ, বছরের প্রথম দিনে লালুর সঙ্গে জেলে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাতে জেল গেটের সামনে সকাল থেকে জড়ো হন যাদব-নেতার অজস্র অনুগামী। লালুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ২৪ জন অনুমতি চান। অনুমতি মেলে মাত্র ৪ জনের। যে চার জনের অনুমতি মিলেছিল তাঁদের মধ্যে একজন গিরিনাথ সিংহ। অবিভক্ত বিহারে লালু মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লালুজি ভেঙে পড়েননি।’’ গিরিনাথ জানান, অনুগামীদের উদ্দেশে লালুজির বার্তা, পরশু আদালতের রায় যাই হোক না কেন, সবাই যেন শান্তি বজায় রাখেন।
অন্য তিন জন জানান, আপার ডিভিশন সেলে লালু থাকায় তাঁর খাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে না বলে লালু জানিয়েছেন। টিভিও দেখতে পাচ্ছেন। তবে শুধু ডিডি-নিউজ। খবরের কাগজ পড়ছেন খুঁটিয়ে। ঝাড়খণ্ড আরজেডির সভাপতি অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, ‘‘যাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের বলেছেন, দলের কর্মসূচিতে যেন ভাঁটা না পড়ে।’’