ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে আট বছর পর ক্ষমতায় ফিরল রিপাব্লিকান পার্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে এ বার ট্রাম্প। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার দিকে বরাবরই জোর দিয়ে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পরই মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। শুভেচ্ছাবার্তায় মোদী বলেন, দু-দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান তিনি। ভারত-মার্কিন বোঝাপড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর, যার অংশীদার দুটি দেশই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে যাওয়া ট্রাম্প আদতে এক ধনকুবের ব্যবসায়ী। তাঁর ব্যবসার গণ্ডি মার্কিন সীমারেখা ছাড়িয়েছে বহু দিন আগেই। এমনকী বাদ পড়েনি ভারতও।
মহারাষ্ট্রের পুণে এবং হরিয়ানার গুরগাঁওতে রিয়েল এস্টেটে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে ট্রাম্পের সংস্থা। ২০১১ সালে পুণের এক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে বিনিয়োগ করে ট্রাম্পের সংস্থা। যদিও তার বৈধতা মানেনি মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি হস্তক্ষেপে বাধা পেয়ে মাঝপথে থেমেও যায় এই প্রকল্পের কাজ। ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র নিজে ভারতে এসে আলাপ আলোচনা চালালেও খালি হাতে ফিরে যেতে হয় তাকে। মহারাষ্ট্র সরকার সাফ জানিয়ে দেয় নিয়মের কোনও ব্যাতিক্রম করবেন না তারা। সেই সমস্যা এখনও মেটেনি।
কূটনৈতিক মহল এবং অর্থনীতিবিদদের ধারণা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প বসার পর এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। ভারতে ওই বিনিয়োগের জেরে বদলাতে পারে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন বিদেশ নীতিতেও।
এখন কেমন হবে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রসায়ন? কংগ্রেস-বিজেপির দুই দলের অনেক প্রভাবশালী সদসস্যের সঙ্গেই অবশ্য ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসা সংক্রান্ত এই অস্বস্তিকর অবস্থা ঠিক কোন দিকে মোড় নেবে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
ভারতীয় রাজনীতিবিদদের খুশি করতে কি পাকিস্তানের সম্পর্কে কড়া অবস্থান নেবেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট? অপেক্ষা আর কিছু দিনের। তবে রিপাবলিকান ধনকুবের হোয়াইট হাউসে ঢোকার পরেই পুণের ৬৫ তলা ট্রাম্প টাওয়ারের দিকে যে সবার নজর ঘুরবে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: হিরে-সোনায় মোড়া পেন্টহাউস ছেড়ে ট্রাম্প এ বার হোয়াইট হাউসে